রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২ ০০:০০ টা

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দৃপ্ত শপথ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দৃপ্ত শপথ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সুসংহত করার দৃঢ় প্রত্যয় আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করার দৃপ্ত শপথ নিয়ে গতকাল জাতি উদযাপন করল ৪১তম মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের এ দিনে দেশজুড়ে কোটি মানুষের মুখে ছিল দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি। তাদের হৃদয়ের গভীরে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভোরের কুয়াশা ভেঙে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে আবালবৃদ্ধবনিতা গতকাল শামিল হয়েছিলেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির সবচেয়ে গৌরবময় অর্জনের দিনটি উদযাপন করতে। বিজয়ের মহান দিনে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভিড় করে হাজার হাজার মানুষ। কুয়াশার চাদর ভেদ করে শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সবাই ভোর থেকে অপেক্ষা করেন শহীদদের সম্মান জানানোর জন্য। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিক, তিন বাহিনীর প্রধানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বর খুলে দেওয়া হয় সাধারণ জনতার জন্য। এরপর থেকে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। বিজয়ের অপার আনন্দে উচ্ছ্বসিত জাতি অবনত শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ দেশমাতৃকার সূর্য সন্তানদের। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার এ মহান দিনে আত্দোৎসর্গকারী সেই সব শহীদের পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানালেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সে সঙ্গে রাজাকার, আলবদরসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি ও দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানান উপস্থিত জনতা। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আনুষ্ঠানিকতায় স্মরণ করল ৩০ লাখ শহীদকে। বিজয়ের ৪১ বছর পূর্তিতে সকালে পুরনো বিমানবন্দরে অবস্থিত শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৬টায় সাভারে পৌঁছান এবং ৬টা ২৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিন বাহিনীর চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। শহীদদের স্মরণে বাজানো হয় বিউগলের করুণ সুর। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক, তিন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা। সকাল ৭টায় এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেশের বাইরে যাওয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এবার স্মৃতিসৌধে যেতে পারেননি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জাবি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলো শ্রদ্ধা নিবেদন করে। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধানিবেদন করার পর সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে স্মৃতিসৌধে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া শহীদ বেদিতে ফুল দেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, আমানউল্লাহ আমান, খায়রুল কবীর খোকন ও শিরীন সুলতানাসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। বেগম খালেদা জিয়া ফুল দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, সাভার ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (কেন্দ্রীয় সংসদ) জাসদ, আদিবাসী ছাত্র সংসদ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল জাবি, বাংলাদেশ মাশরুম ফাউন্ডেশন, মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বিআরডিবি সিবিএ, ফজিলাতুননেসা হল জাবি, বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযুদ্ধ-৭১, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বিপিএটিসি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাভার ও আশুলিয়া ইউনিট, বাংলা একাডেমী, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ন্যাপ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সংসদ, বিএলআরআই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নজরুল ইনস্টিটিউট, কর্মজীবী নারী, গণআজাদী লীগ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস কর্মচারী ফেডারেশন, সাভার প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, জনতা ব্যাংক, বঙ্গবন্ধু পরমাণু বিজ্ঞানী পরিষদ, ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স, ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), প্রজন্ম-৭১, প্রশিকা, এডাব, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, টিআইবি-সনাক (সাভার), সাভার এনজিও সমন্বয় পরিষদ, ঢাকা জেলা সৈনিক লীগ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, জাতীয় জনতা পার্টি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ডিইপিজেড, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার, ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আইন সমিতি, জাকের পার্টি, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা, মনি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এদিকে আমাদের সাভার প্রতিনিধি জানান, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা চলে যাওয়ার পর পরই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠি হাতে শো-ডাউন করতে থাকেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্মৃতিসৌধের গেট, জয় রেস্তোরাঁ, পেট্রল পাম্পসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড, ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল, গোকুলনগর বিশমাইল এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্ধারিত সামরিক স্থাপনাগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সরকারি বেসরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। রেডিও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। কারাগার ও এতিমখানায় বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। শত মিছিল মিশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে : বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বাদ্য-বাঁশি, ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে রাজধানীতে বিজয়ের ৪১ বছরপূর্তি পালন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে শত শত মিছিলের সে াত মিশে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে। পুরো রাজধানীই পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। একাত্তরে যে সময়টিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানে পাকিস্তানি হানাদাররা আত্দসমর্পণ করেছিল সেই সময়টিকে স্মরণ করতে আওয়ামী লীগ নেতারা লাখো মানুষকে নিয়ে শিখা চিরন্তনে শ্রদ্ধাঘর্্য নিবেদন করেন। পরে র্যালি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হয়। একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর আত্দসমর্পণ এবং ৭ মার্চে স্বাধীনতার ডাক দেওয়া বঙ্গবন্ধুর সেই বজ কঠিন ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে দুপুর থেকেই মানুষের ঢল নামে। বিকাল ৩টা বাজার আগেই শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তায় মানুষের তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মিছিলগুলোর অগ্রভাগে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্যরা। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম, হাবিবুর রহমান মোল্লা, সানজিদা খানম এবং ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে আসা বর্ণাঢ্য বিশাল মিছিল ছিল উল্লেখ করার মতো। এবারের বিজয় মিছিলে তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। তাদের গায়ে ছিল লাল সবুজের শার্ট। হাতে ছিল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সংবলিত বিভিন্ন পোস্টার। নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীকে কারাগারে আটক করার প্রতিকৃতি। তাদের প্রত্যাশা একটাই আর দেরি নয়, যুদ্ধাপরাধীর বিচার দেখতে চাই। বিজয় র্যালিতে ডামি রাইফেল, কামান, ট্যাঙ্কসহ মুক্তযুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের রণসজ্জা, পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের আত্দসমর্পণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় উল্লাসসহ বিভিন্ন ডামি প্রদর্শনী সাধারণ মানুষের বাড়তি মনোযোগ আকর্ষণ করে। এদিকে বিশাল এ বিজয় র্যালির কারণে রাজধানীতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে খোলা ট্রাকের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক। সভা পরিচালনা করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

সর্বশেষ খবর