রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, ভোট চুরির নিয়ত নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় এদেশের আগামী নির্বাচনও সেভাবেই হবে। সেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবেই হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ও ক্ষমতায়নও নিশ্চিত হবে। কেননা জনগণের ভোট চুরির নিয়ত আওয়ামী লীগের নেই। গতকাল গণভবনে রংপুর জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী এর আগেরবার সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেই ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন। বললেন, আমি না-কি পালানোরও পথ পাব না। তারপরই হেফাজতকে নিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করেছেন। মসজিদে আগুন দিয়েছেন, কোরআন শরিফও পুড়িয়েছেন। তিনি আবারও সিঙ্গাপুর গেছেন, সেখান থেকে ফিরে কোনো ষড়যন্ত্র করেন কিনা, সে বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।

বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, বিগত নির্বাচনগুলো প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপি জিতেছে। এর পরও বিএনপি কীভাবে বলে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না? এ কথা বলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করাটাই তাদের চরিত্র।

বর্তমান সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মতো ভোটচোরদের হাত থেকে জনগণের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ সরকারই ফিরিয়ে দিয়েছে। এ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত কোনো একটি নির্বাচন নিয়েও কেউ টুঁ শব্দ করতে পারেনি। সব নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগেরই সে সাহস আছে। আওয়ামী লীগই পারবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যত কোরআন পুড়িয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে তত কোরআন শরিফ পোড়ানো হয়নি। একজন মুসলমান হয়ে তারা কীভাবে কোরআন শরিফ পোড়াতে পারে? তারপর এ নিয়ে মিথ্যা কথাও বলেছে। মানুষকে ধোঁকা দেওয়া আর মিথ্যাচার করাই তাদের অভ্যাস।

তিনি রংপুরের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে গত নির্বাচনে জেলার কয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় রংপুরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান। তিনি বলেন, রংপুরবাসীর প্রতি অভিনন্দন যে, তারা এখন নৌকার (আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) দিকেও ফিরেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে মঙ্গাও আর নেই।

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে রুদ্ধদ্বার মতবিনিময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের রংপুর জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি তুলে ধরে রিপোর্ট পেশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু। এ সময় জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরিচালনা করেন দলের উপ-দফতর সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস। বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কাজী জাফরউল্লাহ, সতীশ চন্দ্র রায়, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এইচ এন আশিকুর রহমান, ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা প্রমুখ।

 

 

সর্বশেষ খবর