শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩ ০০:০০ টা

প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা হাতে রাখছে ইসি

অবশেষে দাতা সংস্থার সমালোচনার মুখে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা সম্বলিত আরপিও'র ৯১-ই ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে সুশীল সমাজ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা এই ধারা বাতিল নিয়ে ইসির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও তাতে সারা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বরং সংবাদ সম্মেলন করে একাধিকবার বাতিলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছে। অবশেষে গত ২৭ আগস্ট দাতা সংস্থার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৯১-ই ধারা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি। এর দুই দিন পরেই ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, আরপিও ৯১-ই ধারাতে কিছু অসামঞ্জস্য থাকায় কমিশন এই ধারাটি বাতিলের পক্ষে মত দিয়ে আরপিও সংশোধনীর জন্য খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এর প্রতিক্রিয়ায় রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে। শাহনেওয়াজ বলেন, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং বিভিন্ন মহলের মতামতকে গ্রহণ করে কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে এই ধারাটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, আরপিও এর ৯১-এ তে কমিশনের ক্ষমতা বহাল থাকায় আমরা ধারাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে এর পক্ষে গণমাধ্যমকে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল রয়েছি, তবে জনমতকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে এখন আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। উল্লেখ্য, আরপিওর ৯১-ই ধারায় বলা আছে, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা থাকার অযোগ্য হতে পারেন। তবে তার আগে কমিশন অভিযুক্ত প্রার্থীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেবে। তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে কমিশন সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে।

সর্বশেষ খবর