শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩ ০০:০০ টা
গণফোরামের সভায় বক্তারা

দুই আপদের বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ুন

দুই আপদের বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ুন

গণফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা দুই আপদ-বালাইয়ের হাত থেকে দেশ রক্ষায় তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গণফোরামের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বাসদের সভাপতি খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূরুর রহমান সেলিম, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সাংবাদিক কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মাকসুদ, সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, সাবেক রাকসু ভিপি অধ্যাপক আবু সায়ীদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ, সমকালের নির্বাহী সম্পাদক আবু সাঈদ খান প্রমুখ। সভা সঞ্চালন করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার সীমাহীন লোভের কাছে আজ দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দখলবাজদের হাতে জনগণের স্বার্থ ও দেশের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকারের দিকে হাঁটছে। দেশের এক শতাংশ লোকের লোভী ও মানসিক রোগীর কাছে আমরা আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নকে মলিন হয়ে যেতে দিতে পারি না।

আ স ম আবদুর রব বলেন, বিদ্যমান শাসন বজায় রেখে শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নাম না নিয়ে তিনি বলেন, দেশের দুই আপদ বালাইয়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তারা দুজনে মিলে সিংহাসন রক্ষার জন্য দেশটিকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া ক্ষমতার লোভে যা ইচ্ছা তাই করবেন_ এ জন্য আমরা দেশটাকে তাদের কাছে লিজ দেইনি। আমরা ভোট দিয়েছি দেশ গড়ার জন্য। কিন্তু দুই নেত্রী আজ আমাদের অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। নির্বাচন হবে কিনা, নাকি হানাহানি হবে জানি না। নির্বাচনের পর আবার হানাহানি, আবার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, আবার খুনাখুনি দেশের মানুষ দেখতে চায় না।

 

 

সর্বশেষ খবর