সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন কানাডিয়ান সাহিত্যিক এলিস মুনরো। মুনরো তার সমকালে ছোটগল্পের জন্য বিশ্বব্যাপী নন্দিত। ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেড, লাইভস অব গার্লস অ্যান্ড উইমেন, দ্য মুনস অব জুপিটার, দ্য লাভ অব আ গুড উইমেন প্রভৃতি এলিস মুনরোর বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম। এলিস মুনরো কানাডার ওন্টারিওর উইংহামে জন্মগহণ করেন ১৯৩১ সালের ১০ জুলাই। মুনরোর পিতা রবার্ট এরিক লেইডল' ছিলেন পোল্ট্রি ফার্মার এবং মা অ্যান ক্লার্ক লেইডল' স্কুলশিক্ষক। ২০০৯ সালে মুনরো তার সাহিত্যকর্মের জন্য ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন।
গতকাল সুইডেন সময় দুপুর ১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা) সাংবাদিকদের সামনে এ বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে এলিস মুনরোর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি।
উল্লেখ্য, জন স্টাইনবেক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, উইলিয়াম ফকনার, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, উইন্সটন চার্চিল, পাবলো নেরুদা ও আলব্যের কামু'র মতো সাহিত্যিকরা বিভিন্ন সময় বিশ্বসাহিত্যের এই সম্মানজনক পুরস্কার অর্জন করেছেন।২০১২ সালে চীনের কথাসাহিত্যিক মো ইয়ান সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী নির্বাচিত হন। বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল প্রচলন করেন এই পুরস্কার। ১৯০১ সাল থেকে অনন্য সাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি।
বিষয়গুলো হলো- পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি। নোবেল পুরস্কারকে এসব ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।