শিরোনাম
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি : ব্রতী

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৬টি আসনে ৩৭ শতাংশ ভোট পড়লেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল ধানমন্ডির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা 'ব্রতী'র প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশীদ।

তিনি বলেন, 'নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আমরা দলের ভেতরই অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখলাম। একই দলের একাধিক প্রার্থী। এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর সঙ্গে ঝগড়া করেন, তারা নির্বাচনের পরিবেশটাকেই বানচাল করে দিলেন এবং সেখানে নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে এটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ছিল পরিবেশকে এমন জায়গায় নিয়ে আসা, যেন মানুষ নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে। কিন্তু কমিশন এ কাজে ব্যর্থ হয়েছে।'

শারমীন মুরশীদ আরও জানান, 'নির্বাচন কমিশন তার বিদ্যমান সাংবিধানিক ক্ষমতার মাধ্যমেই একটি স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারত। এ ছাড়া প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত নির্বাচনের চেয়েও এ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির হার তুলনামূলক কম ছিল। স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি দেশের ১৬টি সংসদীয় আসন পর্যবেক্ষণ করে এবং দেখতে পায়, এ আসনগুলোতে ভোটারদের মোট উপস্থিতির হার ছিল ৩৭ শতাংশ। কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের মোট গড় ভোটারদের উপস্থিতির প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচনের আগে এবং পরে অবস্থার পর্যবেক্ষণ করে ব্রতী নির্বাচনকেন্দ্রিক অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করে। এতে বলা হয়, নির্বাচনের দিন দেশের ২১ জন মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায়ও বহু লোক হত্যার শিকার হন। নভেম্বরের ২৫ তারিখে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর থেকেই কমপক্ষে ১৮০ জন মানুষ সহিংসতায় নিহত হন।

সর্বশেষ খবর