সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা
উপজেলা নির্বাচন

দুই দলেই বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি

দুই দলেই বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি

নাম স্থানীয় সরকার হলেও পূর্ণ রাজনৈতিক আদলেই হতে যাচ্ছে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। তাদের কেউ কেউ এটাকে অগি্নপরীক্ষা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে প্রতিটি জেলায়। সব রকমের অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিজ নিজ দল থেকে একক প্রার্থী দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে তাদের। কিন্তু উভয় দলের নেতারাই হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় এই বিরোধ মেটাতে। উপজেলা নির্বাচনের এই বিদ্রোহের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রায় সমানে সমান। তবে বিরোধ মিটাতে গিয়ে অনেক জায়গায় হেনস্তার শিকারও হচ্ছেন উভয় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বহু চেষ্টার পরও অর্ধেক স্থানেও যেমন একক প্রার্থী দিতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তেমনি প্রতিপক্ষ বিএনপির উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারাও এখনো পর্যন্ত খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। অনেক স্থানেই কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না উভয় পক্ষের তৃণমূল নেতারা। তাদের অভিযোগ সারাজীবন তিল তিল করে প্রস্তুতি নিয়েছি। আর কেন্দ্রীয় নেতারা গ্রামে বেড়াতে এসে বাস্তবতা উপেক্ষা করে তাদের খেয়াল খুশিমতো সিদ্ধান্ত দিয়ে দিচ্ছেন। এমন নিষ্ঠুর নির্দেশ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আর এ জন্যেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের পক্ষ থেকেই গতকাল এই বিদ্রোহ দমনে দল থেকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও রংপুরের পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের তিনজন করে মোট ৬ জন নেতা এবং কিশোরগঞ্জের কমিরগঞ্জে বিএনপির একজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুই দলের তৃণমূল নেতারাই ঢাকায় এসে নিজ নিজ নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে চান। এদিকে প্রথম পর্যায়ে ১৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ৯৭টি উপজেলার মধ্যে ৫০টিরও বেশি আসনেই বিএনপির একাধিক প্রার্থী লড়ছেন। এসব স্থানে কেন্দ্রীয় নেতারা মীমাংসা করতে গেলে তাদেরকে আন্দোলনে ব্যর্থ, পলাতক নেতা ও সরকারের দালাল হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন বিদ্রোহীরা। আওয়ামী লীগ : নতুন বছরে নতুন সংসদ ও সরকার গঠন করলেও উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারণের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয়ভাবে গঠন করে দেওয়া আওয়ামী লীগের সাতটি টিম বহু চেষ্টা-তদ্বিরের পরও প্রতিপক্ষ বিএনপিকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ৯৭টি উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর সঙ্গে দলের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সংশ্লিষ্ট একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার মতে, এখনো বিএনপির চেয়ে ১০টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীর সংখ্যা বেশি রয়েছে। অর্থাৎ প্রথম দফায় মোট ৯৭টি উপজেলার নির্বাচনে ৫৩টি উপজেলাতেই দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তবে ভোট গ্রহণের আগমুহূর্ত পর্যন্ত 'বিদ্রোহী' প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমে আসবে বলে আশা করছেন তারা। এর মধ্যে বিদ্রোহী অনেক প্রার্থীকেই বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে বলে জানান। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত একক প্রার্থী বাছাই এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখভালের জন্য গত ২৭ জানুয়ারি সাত বিভাগের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সাতটি টিম গঠন করা হয় কেন্দ্র থেকে। দলের একজন সিনিয়র নেতাকে প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সম্পাদককে সমন্বয়ক করে এসব টিম গঠন করা হয়। তাদের মাঠপর্যায়ে সফর করে প্রতিটি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান ও দুজন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী বাছাই এবং তৃণমূলের সাংগঠনিক সমস্যা চিহ্নিত করে কেন্দ্রে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগের টিম লিডাররা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে ঢাকা বিভাগের টিমের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আহমদ হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলা সফর করেছেন। এ বিভাগে প্রথম দফায় ২৬টি উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪টি উপজেলায় একক প্রার্থী আছেন। অন্যগুলোতে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের পাশাপাশি 'বিদ্রোহী' প্রার্থী আছেন। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগের সমন্বয়ক আহমদ হোসেনের ভাষ্য হলো- 'আমাদের দায়িত্ব একক প্রার্থী ঠিক করা এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একক প্রার্থী হয়ে গেছে। অন্যগুলোও ঠিক করে ফেলব ইনশাল্লাহ।' অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গঠিত টিমের সদস্যরা এখন পর্যন্ত সাংগঠনিক সফরেই বের হয়নি। এ বিভাগের আটটি উপজেলার মধ্যে সাতটিতেই আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী। এ টিমের সমন্বয়ক বীর বাহাদুরের ভাষ্য হলো- আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই বৈঠক করে সফরে যাওয়ার বিষয়টি ঠিক করবেন। তবে উপজেলা নির্বাচনের জন্য গঠিত সক্রিয় বিভাগীয় টিমগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাজশাহী বিভাগ। এ বিভাগের টিম লিডার মোহাম্মদ নাসিম ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ সফর করে এসেছেন। এ দলের সমন্বয়ক আবু সাঈদ আল মাহমুদ বগুড়া, জয়পুরহাট ও রাজশাহী সফর করেছেন। এ বিভাগের ১৮টি উপজেলার মধ্যে ১০টিতে 'বিদ্রোহী' প্রার্থী রয়েছেন। আবু সাঈদ আল মাহমুদের বক্তব্য_ 'আমরা চেষ্টা করছি বিদ্রোহীদের বসানোর। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।'

অন্যদিকে বরিশাল বিভাগীয় টিমের লিডার আমির হোসেন আমু ইতোমধ্যে ঝালকাঠি ও বরিশাল সফর করেছেন। এ বিভাগে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন হতে যাওয়া তিনটি উপজেলার মধ্যে একটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এ বিভাগের সমন্বয়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বক্তব্য হলো- এটাকে বিদ্রোহ বলা ঠিক হবে না। কারণ বড় দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবেই। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনগুলোর ওপর এখন থেকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। খুলনা বিভাগীয় টিমের প্রধান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখনো সাংগঠনিক সফরে না গেলেও এ দলের সমন্বয়ক বি এম মোজাম্মেল হক কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুর সফর করেছেন। এ বিভাগের ১৪টি উপজেলার মধ্যে নয়টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। তবে সংশ্লিষ্ট নেতারা তা কমানোর চেষ্টা করছেন।

রংপুর বিভাগের টিম লিডার বেগম মতিয়া চৌধুরী। এর সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, ফারুক খান, অসীম কুমার উকিল ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রংপুর, কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর সফর করেছেন। এ বিভাগের ১৭টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে যেসব প্রার্থীর অবস্থা খারাপ তাদের বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সিলেট বিভাগের টিম লিডার ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যেই সিলেট ঘুরে এসেছেন। এ বিভাগের ১২টি উপজেলার মধ্যে ছয়টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। এ দলের সমন্বয়ক মিজবাহউদ্দিন সিরাজের মতে, সবাইকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। সে দলের সমর্থন পেতে সবারই আশা থাকে। একক প্রার্থী করার বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়েই সমস্যার সমাধান করা হবে। এ ছাড়া এ নির্বাচনে অনেকগুলো ধাপের মধ্যে সবেমাত্র দুই ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে থাকা নেতা মোহাম্মদ নাসিম জানান, উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যেসব স্থানে একেবারেই সমাঝোতা করা সম্ভব হচ্ছে না, সেসব জায়গায় একটি করে সুপারিশ আমরা দলীয় সভানেত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী করতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিমগুলো কাজ করছে। আশা করছি দ্বিতীয় ধাপে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না।

বিএনপি : প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রত্যেকেই নির্বাচনে জয়লাভ করবেন বলে দাবি করছেন। এলাকার বাস্তব অবস্থা বিবেচনা না করে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অনিয়মের অভিযোগও আনছেন তারা। এমনকি অনেক স্থানে উপজেলা পর্যায়ের নেতারা এ নিয়ে দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে কথা বলতে চাচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে তা নাকচ করে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী তথা সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূল নেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উপজেলা নির্বাচনে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের বিষয়টি দেখভালের জন্য গঠিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কমিটি প্রতিটি উপজেলায় দল ও জোটের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন। দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের নাম জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দফার নির্বাচনে বেশির ভাগ উপজেলায় দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অনেকে 'বিদ্রোহী' প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে রয়ে গেছেন। তারপরও বিএনপির কেন্দ্র থেকে বেশির ভাগ উপজেলায় তাদের প্রার্থীরই জয়লাভের আশা করা হচ্ছে। তবে অন্তর্কোন্দলের কারণে যেন সেই জয় হাতছাড়া না হয় সে ব্যাপারেও প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য ইমেজের নেতা দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একাধিক প্রার্থী আছেন এমন উপজেলার প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে সেসব স্থানে দল ও জোটের একক প্রার্থী দেওয়ার জন্য কাজ করছেন বলে জানা গেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সব উপজেলায় একক প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ১১৭টি উপজেলায় একক প্রার্থী দিতে কাজ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। এসব উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ৩৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

পরে সমঝোতার মাধ্যমে জামায়াতকে ১৮টি উপজেলায় ছাড় দেয় বিএনপি। বাকি ১৫টি উপজেলায় জামায়াতের নেতারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বিএনপি ১৮টি উপজেলায় ছাড় দিলেও স্থানীয় নেতারা ছাড় দিতে নারাজ। এর মধ্যে ১৭টিতেই বিএনপির নেতারা 'বিদ্রোহী' হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বগুড়ার ছয়টি উপজেলাও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুপচাঁচিয়া, নন্দীগ্রাম ও শেরপুরে জামায়াতের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কিন্তু স্থানীয় বিএনপি সে সিদ্ধান্ত মানছে না। এ তিন উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। বগুড়া জেলা বিএনপি নেতাদের মতে, বিএনপির ঘাঁটি এই জেলায় জামায়াতকে ছাড় দেওয়া কোনো প্রয়োজনই নেই। বিএনপির তথ্যানুযায়ী কেবল নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায় জামায়াতের একক প্রার্থী আছে। সেখানে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।

উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহ দমাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ের নির্দেশে উপজেলা পর্যায় থেকে স্থান বিশেষে বিদ্রোহী পার্থীদের দল থেকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুর রহমানকে ইতোমধ্যেই দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় জহিরুল ইসলাম মুবিন ও পাকুন্দিয়ায় একক প্রার্থী হলেও নিকলী এবং বাজিতপুর উপজেলায়ও চেয়ারম্যান পদে বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর