বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

সংসদ নির্বাচন হবে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির পর

সৈয়দ আশরাফ

পাঁচ বছর পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে বর্তমান সংবিধানের আলোকেই। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংসদের মেয়াদ। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় তার পাশেই বসা ছিলেন। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগে ক্ষমতা ছাড়ার কোনো ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নেই। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির পর আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি কোনো চাপের কাছে আওয়ামী লীগ নতি স্বীকার করবে না বলেও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন তিনি। যতই প্রেসার আসুক। সংবিধান পরিবর্তন হবে না। নিজ নিজ দেশের সংবিধান মেনে নির্বাচন করে বাংলাদেশিদের অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করার উপদেশের  সমালোচনা করে আশরাফ বলেন, আপনারা করলে রাইট, আমরা করলে রং? এভাবে কথা শুনতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, তারাও টায়ার্ড হয়ে গেছে। তবে অনেকে হয় নাই। এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা নিষ্কণ্টক হবে না আভাস দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কোনো ধরনের ঢিলেমি না দিতেও বলেন সাধারণ সম্পাদক আশরাফ।  
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হচ্ছে : ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে ভাগ করে কমিটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদকের স্বাগত বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, মহানগরের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা কমিটি গঠন করতে বলেছি। দ্রুত শেষ করতে হবে। এরপর মহানগরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে কমিটি ঘোষণা করা হবে।  
বিদ্রোহীদের ব্যাপারে শিথিল  নীতি : উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের যখন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে কাহিল অবস্থা তখনো দলে তাদের ব্যাপারে শিথিল নীতি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে নেতা-কর্মীদের চিঠি পাঠিয়েছেন।
 

সর্বশেষ খবর