সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (৪৫) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও তেঁতুলিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দেলার ছেলে। নিহত জাহাঙ্গীর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার ১৬ নম্বর আসামি। এর আগে ৩০ জানুয়ারি রাতে র্যাবের কথিত ক্রসফায়ারে এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পূর্ববাঐতারা গ্রামের আবদুল ওয়াহাবের ছেলে বাবলুর মৃত্যু হয় এবং ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে এ মামলার প্রধান আসামি পূর্ববাঐতারা গ্রামের আজিজল হোসেনের ছেলে জবান আলীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হলেও কারা তাকে হত্যা করেছে কেউ তার দায়ভার নেয়নি। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে এগুলোকে বিচারবহিভর্ূত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করা হয়েছে। কামারখন্দ থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) আবদুল বাছেদ জানান, গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় মহাসড়কের ঝাঐল ওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে জাহাঙ্গীর আলমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় সংবাদ দেয়। নিহতের মাথায় দুটি রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কারা তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে তিনি সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি। বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। দশম সংসদ নির্বাচনের পর একই ইউনিয়নের তিনজন বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা করে সরকার প্রমাণ করেছে বিরোধীদলকে নিধনে নেমেছে তারা। এটা একটি বিচারবহিভর্ূত হত্যাকাণ্ড। নিহতের স্ত্রী রোজিনা খাতুন জানান, ঢাকার জয়দেবপুর এলাকায় সৎমায়ের বাসায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন আমার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও জবান আলীকে আটক করেছিল। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে জবান আলীর লাশ পাওয়া গেলেও আমার স্বামী এতদিন নিখোঁজ ছিল।
