শিরোনাম
রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

দ্রুত সংলাপে বসুন নইলে পরিণতি ভয়াবহ

সরকারকে খালেদা জিয়া

দ্রুত সংলাপে বসুন নইলে পরিণতি ভয়াবহ

আবারও আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ধৈর্যেরও একটা সীমা রয়েছে। মানুষ বেশি দিন অপেক্ষা করবে না। এখনো সময় আছে, সংলাপে বসুন। বেশি দেরি করলে, জুলুম-নির্যাতন বাড়ালে এর ভয়াবহ পরিণতির দায় সরকারকেই নিতে হবে। কারও কোনো নির্দেশনায় নয়, দল গুছিয়ে সময়মতো আন্দোলন করা হবে বলেও জানান তিনি। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'আসুন সময় হয়েছে, জুলুম-অত্যাচারে আর চোখের পানি ফেলে মুখ বুজে সহ্য করে নয়, জবাব দিতে হবে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ করে। সেই প্রস্তুতি নিন।' গতকাল দুপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর কমিটির সম্মেলন ও কাউন্সিলের উদ্বোধনী পর্বে বিএনপি চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এর আয়োজন করা হয়। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে বিকালে সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর শাখার নতুন কমিটি নির্বাচন করা হয়।

মহানগর শাখার সভাপতি মো. রেহান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ার?ম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান সরোয়ার, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী প্রমুখ। বেগম জিয়া তার বক্তব্যে বর্তমান জাতীয় সংসদ, সরকার, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা ও অধিকাংশ সংসদ সদস্যকেও 'অবৈধ' বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জনগণের টাকা খরচ করে সংসদে শুধু গালিগালাজ করা হচ্ছে। সময়মতো আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যারা যাই মনে করুক, যখন মনে করব আন্দোলনের সময় হয়েছে, আমরা প্রস্তুত, তখন আন্দোলন করব। কারও নির্দেশনায় আমরা চলি না।' দল গোছানোর কাজ চলছে বলে জানিয়ে বেগম জিয়া বলেন, সারা দেশে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটিও পুনর্গঠন করা হবে। যাদের যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা আছে, সংগঠন গতিশীল করার স্বার্থে তাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। কমিটিগুলোতে থাকবে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়।

এরশাদ 'বেইমান-মোনাফেক' : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে 'বেইমান ও মোনাফেক' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এরশাদ হলো খাঁটি বেইমান-মোনাফেক। তাকে বিশ্বাস করা যায় না। এ জন্য তার দল থেকে লোকজন বের হয়ে যাচ্ছে। তাকে বানানো হয়েছে বিশেষ দূত। উনি কী উপদেশ দেবেন? তাকে তো দেশের কেউ বিশ্বাস করে না। বিদেশিরাও বিশ্বাস করে না। উনি কী দূতিয়ালি করবেন? তিনি অনেক দুর্নীতি করেছেন, অনেক মানুষ হত্যা করেছেন। তার বিচার হয়নি। তার সব পাপ জমা রয়েছে। সময়মতো এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খালেদা জিয়া বলেন, এরশাদের জাতীয় পার্টি তিন-চার টুকরা হয়ে গেছে। এরশাদ নির্বাচনের আগে বলেছিল তিনি রিজাইন করেছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তাহলে তিনি আবার শপথ নেন কী করে? প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হন কী করে?

 

সর্বশেষ খবর