রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

বিএনপি সঠিক পথেই এগোচ্ছে

মে. জে. (অব.) জেড এ খান

বিএনপি সঠিক পথেই এগোচ্ছে

বিএনপির বর্তমান রাজনীতি 'সঠিক' পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করেন দলের চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) জেড এ খান। তিনি বলেন, বাস্তবতার নিরিখে রাজপথের আন্দোলনে কিছুটা ছাড় দেওয়া উচিত ছিল। বিএনপি তা-ই করেছে। বিশেষ করে টি-২০ বিশ্বকাপ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসহ নানা বাস্তবতায় এ মুহূর্তে কঠোর কোনো কর্মসূচি দিলে জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলত। এ সুযোগে দল গোছানোর কাজ শেষ করে পরীক্ষার পর জাতীয়তাবাদী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও সে ইঙ্গিত দিয়েছেন। গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন বিএনপির একসময়ের প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা। সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, তিনি দলের কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। জয়ও পেয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সরাসরি কথা না হলেও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান জেড এ খান। বিএনপির সংশ্লিষ্টদের ইতিবাচক সম্মতি নিয়েই দলের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। বলেন, যথাসময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সফলতা-ব্যর্থতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আন্দোলনে বিএনপি ব্যর্থ হয়নি। সরকারই ব্যর্থ। ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনে তা-ই প্রমাণ হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের চিত্র দেখেছে। সর্বশেষ পাঁচ ধাপের উপজেলা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে হেরেছে। জিতেছে বিএনপি। এতে বোঝা যায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগম জিয়ার না যাওয়ার ঘোষণা সঠিক ছিল। তিনি বলেন, ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি পালনেও বিএনপির ব্যর্থতা ছিল না। ঢাকাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে ঘিরে রেখেছিল, তাতে কর্মসূচি পালন করা কারও পক্ষেই সম্ভব ছিল না। এ বাস্তবতা সবাইকে বুঝতে হবে।

 

কারণ, এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে কথায় কথায় গুলি করে তাতে যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা কঠিন। দেশ কোন পথে- এর সরাসরি উত্তর না দিয়ে জেড এ খান বলেন, দেশ চলছে, চলবে। তবে সরকারের সব অন্যায়ের সময়মতো জবাব দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সরকার ৫ জানুয়ারি ভোটের ফলাফল নিজেদের করে নিয়েছে। একে কোনো সংজ্ঞায় নির্বাচন বলা চলে না। এ ধরনের অদ্ভুত নির্বাচন পৃথিবীতে কোথাও হয়েছে বলে মনে হয় না। সহিংস উপজেলা নির্বাচনের পর বিএনপি 'চাঙ্গা' বলে জানান জেড এ খান। তার মতে, 'ভোট ডাকাতির' উপজেলা নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। বিশেষ করে সরকারের জনপ্রিয়তা যে প্রায় শূন্যের কোঠায় তা উপজেলা নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। আমার উপজেলায় তা-ই দেখেছি। এখন প্রয়োজন জাতীয়তাবাদী সব শক্তির বৃহৎ ঐক্য। সময়মতো ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের আন্দোলনে যেতে হবে। জনগণের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

 

সর্বশেষ খবর