শিরোনাম
রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

একজন মহসিন আলী

একজন মহসিন আলী

এতিমদের শুধু গতানুগতিক নিয়মে লেখাপড়া করানো ও খাবার পরিবেশনের মধ্যেই দায়িত্ব শেষ করতে চান না সমাজকল্যাণমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলী। তিনি সারা দেশের এতিমখানায় থাকা শিশুদের সমাজের আর দশটা শিশুর মতোই বড় হয়ে উঠতে দেখতে চান। এ জন্য এতিমখানার শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। সৈয়দ মহসীন আলী বলেন, সম্প্রতি তিনি সুনামগঞ্জের একটি এতিমখানায় গিয়েছিলেন। সেখানে দুটি মেয়েশিশুকে অসাধারণ নৈপুণ্যে গান করতে দেখে তিনি মুগ্ধ। সেখান থেকে ফিরেই তিনি এতিমদের জন্য কিছু করার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, এতিমখানায় থাকা শিশুদের মধ্যেও অনেক সম্ভাবনাময় ও প্রতিভাবান শিশু রয়েছে। কিন্তু সেই শিশুরা সমাজের আর দশটি শিশুর মতো সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না, যার ফলে তারা তাদের প্রতিভা বিকশিত করারও সুযোগ পাচ্ছে না। বিষয়টি তার মনে দাগ কেটেছে। মন্ত্রী জানান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী হিসেবে এ মন্ত্রণালয় থেকে সমাজের অসহায় ও বঞ্চিতদের জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। সে সুযোগটাই তিনি কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন। ইতোমধ্যে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এতিমখানার শিশুরা যেন স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে; নাচ, গান, খেলাধুলা করার সুযোগ পায় সে জন্য দেশের প্রতিটি এতিমখানায় হারমোনিয়াম, তবলাসহ গানের সরঞ্জাম ও খেলাধুলার সামগ্রী দেবেন। এ ছাড়া তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতার পরিমাণও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সৈয়দ মহসীন আলী জানিয়েছেন, এতিমখানায় প্রতিটি শিশুর জন্য এখন বরাদ্দ মাত্র দেড় হাজার টাকা। তার মন্ত্রণালয় এর পরিমাণ বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তার জন্য আগামী বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর যে প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে তার মধ্যে এতিমদের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। -নিজস্ব প্রতিবেদক

 

 

সর্বশেষ খবর