বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি বাংলাদেশে নেই : বিজিবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি নেই। বাংলাদেশ কখনোই তার ভূমি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করতে দেয় না এবং  ভবিষ্যতেও দেবে না। গতকাল দুপুরে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভারতের নয়া দিল্লিতে সদ্যসমাপ্ত বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বিএসএফ সীমান্তে ৭১টি বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘাঁটির তালিকা বিজিবিকে দিয়েছে। এর আগেও তারা বিভিন্ন তালিকা দিয়েছিল। কিন্তু অনুসন্ধান করে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এবারও ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। তবে এবার দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে, যেসব স্থান দিয়ে চোরাচালান হয় দুই পক্ষই সেগুলো শনাক্ত করবে। একই সঙ্গে প্রতি বছর তা হালনাগাদ করা হবে। তিনি বলেন, বিজিবিকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল বিএসএফ। বিজিবি তাতে সম্মত হয়েছে। বিএসএফ চার ধরনের প্রশিক্ষণ দেবে। এগুলো হলো জুনিয়র ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বোমা শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণ এবং শিকারি কুকুরের ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ। আগামী নভেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণের জন্য বিজিবির কর্মকর্তাদের ভারতে পাঠানো হতে পারে।
তবে ডিসেম্বরে যে সীমান্ত সম্মেলন হবে, তার আগেই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সীমান্তে যতগুলো অঘটন ঘটে, তার সব পশু চোরাচালানকে কেন্দ্র করে। সীমান্তে অপরাধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ এবং মৃত্যুর ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। ফেলানী হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএসএফ জানিয়েছে, ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
 তিনি বলেন, সীমান্তে বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ড হয় রাতের বেলা। তাই রাতের বেলায় সীমান্তে না যেতে বিজিবি মহাপরিচালক আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজসংক্রান্ত ইস্যু দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। বিএসএফ দ্বিপক্ষীয় সম্মেলনে বিজিবিকে জানিয়েছে, ভারত এখন সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে না। বিএসএফ চোরাকারবারিদের একটি তালিকা দিয়েছে। আর বাংলাদেশ ফেনসিডিল তৈরির কারখানার তালিকা বিএসএফকে দিয়েছে। জবাবে বিএসএফ বলেছে, ভারতে ফেনসিডিল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ পদক্ষেপ নেবে। প্রসঙ্গত, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সীমান্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক দেবেন্দ্রকুমার পাঠকের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।

সর্বশেষ খবর