শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

এবার খালেদা সময় দিলেন তিন মাস

এবার খালেদা সময় দিলেন তিন মাস

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নতুন কমিটিগুলোর জন্য তিন মাস সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী দিনের আন্দোলনকে সামনে রেখে কমিটি ঘোষণা পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে নির্ধারিত ভূমিকা পালন করতে না পারলে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পরিবর্তন আনা হবে। ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলসহ গঠনতন্ত্র অনুমোদিত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠনগুলোর ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করার সপ্তাহ খানেক আগে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে বিএনপি হাইকমান্ড এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যায়। 

এ প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ছাত্রদলের নতুন কমিটির ওপর আমাদের আস্থা আছে। তারপরও তাদের ‘পারফরমেন্স’ যাতে আরও ভালো হয়- সেজন্যে চেয়ারপারসন তো যে কোনো ধরনের ‘কন্ডিশনই’ দিতে পারেন। তাছাড়া দল ক্ষমতায় থাকার সময় কোনো ছাত্র সংগঠনের কমিটির কার্যক্রম, আর বিরোধী দল বা আন্দোলনে মাঠে থাকাকালে কার্যক্রমেও অনেকটা তারতম্য রয়েছে। কারণ এ পর্যন্ত যত রকমের গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে তারমধ্যে ছাত্র সমাজের ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আশা করি এ কমিটিও অবশ্যই ভালো ভূমিকা রাখবে। স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, হতে পারে। কারণ আন্দোলনকে সামনে রেখে তাদের ভূমিকাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ছাত্রদল ও যুবদলের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই তারা যাতে আরও ভালো কাজ করে, সেজন্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত তো চেয়ারপারসন নিতেই পারেন।

ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুব আরও বলেন, আগের কমিটিগুলো অছাত্র ও বয়স্কদের নিয়ে গঠনে অনেক বিতর্ক ছিল। অনেকে ছাত্রনেতা বাবার বয়সীও ছিল। এবার অন্তত ছাত্রত্ব আছে এমন সদস্যদের নিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানি। বিশেষ করে সভাপতি রাজীব ও সেক্রেটারি আকরাম কারেন্ট স্টুডেন্ট হিসেবে রয়েছে। তাদের ওপর আমাদের আস্থাও আছে। এদিকে ছাত্রদলের পর আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই যুবদল ও কৃষক দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। তার মধ্যে যুবদলের সভাপতি হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা সানাউল্লাহ নিরু ও খায়রুল কবির খোকনের নাম বেশি করে শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদকের নামের তালিকায় আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, কামরুজ্জামান রতন ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। অন্যদিকে কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু ও দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানসহ আরও কয়েক জনের নাম উঠে এসেছে।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া সম্রাট ও তকদির হোসেন জসিমের নাম। বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন প্রবীণ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আর দীর্ঘসূত্রিতার কোনো সুযোগ নেই। দেরি না করে যতদ্রুত সম্ভব মেয়াদোত্তীর্ণ সবগুলো অঙ্গসংগঠনের কমিটি দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চেয়ারপারসন। এরপর যেসব কমিটির নেতাদের পারফরমেন্স ভালো না হবে, সেসব কমিটির শীর্ষ নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর