বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ভাইকে গাছে বেঁধে বোনকে ধর্ষণ করল সাতজন

ভাইকে গাছে বেঁধে বোনকে ধর্ষণ করল সাতজন

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে বোনকে গণধর্ষণ করেছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী তিনসন্তানের মা। গতকাল সকালে স্থানীয় লোকজন ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে তাকে শার্শা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও এর পর যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, তিন সন্তানকে নিয়ে  যশোর শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে যশোর থেকে শার্শা উপজেলার ভবানীপুরে খালার বাড়ি যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়ায় পৌঁছলে আট-দশজন দুর্বৃত্ত দড়ি টানিয়ে রাস্তা আটকায়। তারা এ সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। পরে তাদের ভাইবোনকে ধরে একটি মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। এ সময় দুজনেরই মুখ ও চোখ বেঁধে ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে একে একে সাতজন তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। দুর্বৃত্তরা পরস্পরকে ডাকাডাকি করার সময় তিনি রাজু, আরিফ, লতিফ বাবু নামগুলো শুনেছেন বলে দাবি করেন। দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল ও তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম সাংবাদিকদের জানান, গতকাল সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে এবং পরে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, বেলা একটার দিকে  মেয়েটিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার শরীরে ধর্ষণের আলামত ছিল। শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল, শরীরে উচ্চমাত্রার জ্বর, বমি ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ কর্মকর্তা আবদুর রহিম আরও জানান, ওই নারী যেসব নাম বলেছেন, সে নামগুলো ধরে দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। রাতে স্থানীয় বখাটে হাতকাটা রাজুকে প্রধান আসামি করে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর