শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন

র‌্যাব সদস্য রুহুলেরও স্বীকারোক্তি

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন র‌্যাব সদস্য রুহুল আমিন। ডিবি পুলিশ গতকাল সকালে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
পটুয়াখালীর বাউফলে বাড়ি থেকে ৭ অক্টোবর রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে চার দফায় মোট ২৫ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। তবে ২২ দিনের মাথায়ই তিনি জবানবন্দি দিলেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রুহুল আমিন সাত খুনের ঘটনায় অপহরণ থেকে শুরু করে লাশ নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। সাতজনকে একে একে গাড়িতে তোলার সময় প্রত্যেককে স্প্রে করে অচেতন করে মুখে পলিথিন বেঁধে দেন রুহুল। লাশ ডুবিয়ে দেওয়ার সময়ও ট্রলারে তিনি উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন রুহুল। তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ ডিবির ওসি মামুনুর রশীদ মণ্ডল জানান, সাত খুনের ঘটনায় দায়ের দুটি মামলায়ই রুহুল আমিন জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত প্রাঙ্গণে তাকে দেখতে আসা ভাই পটুয়াখালী জেলায় পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত আলমগীর জানান, রুহুল আমিন এমন কাজ করতে পারে তা ভেবে তার পরিবার হতবাক হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে গত ২৭ এপ্রিল অপহরণ করা হয়। পরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তাসহ ২৪ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে তাদের হত্যা করিয়েছেন বলে অভিযোগ। অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে ভারতে গ্রেফতারের পর সেখানে নূর হোসেনের বিচার চলছে। অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা ও চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানাসহ ১২ জন এর আগে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর