শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
ধর্মচিন্তা

খুন-হত্যা বিষয়ে ইসলামী শিক্ষা

‘হে মুমিনগণ! নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের জন্য কিসাসের বিধান দেওয়া হইয়াছে। স্বাধীন ব্যক্তি বদরে স্বাধীন ব্যক্তি, ক্রীতদাসের বদলে ক্রীতদাস ও নারীর বদলে নারী, কিন্তু তাহার ভাইয়ের পক্ষ হইতে কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করা হইলে যথাযথ বিধির অনুসরণ করা ও সততার সঙ্গে তাহার দেয় আদায়-বিধেয়। ইহা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে ভার লাঘব ও অনুগ্রহ। ইহার পরও যে সীমালঙ্ঘন করে তাহার জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রহিয়াছে। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ! কিসাসের মধ্যে তোমাদের জন্য জীবন রহিয়াছে, যাহাতে তোমরা সাবধান হইতে পার।’ (সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত ১৭৮ ও ১৭৯) পাদটিকা : ১২১, প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য হত্যার দাবি করা। সজ্ঞানে অন্যায়ভাবে কেহ কাহাকে হত্যা করিলে বিনিময়ে হত্যাকারীকে হত্যা করার যে বিধান রহিয়াছে, ইসলামী পরিভাষায় তাহাকে ‘কিসাস’ বলা হয়। ১২২. জাহিলি যুগে নরহত্যার শাস্তি ব্যাপারে গোত্রে গোত্রে, প্রবলে দুর্বলে ও কুলীনে-অকুলীনে পার্থক্য করার নিয়ম ছিল। সম্ভ্রান্ত বা শক্তিশালী দলের এক ব্যক্তি দুর্বল অথবা নিুশ্রেণির কাহারো দ্বারা নিহত হইলে হত্যাকারীর সঙ্গে তাহার গোত্রের বা দলের আরও কিছু লোককে হত্যা করা হইত। অন্যদিকে হত্যাকারী সবল বা সম্ভ্রান্ত হইলে প্রাণদণ্ড এড়াইয়া যাইত। এই ধরনের নিয়ম রহিত করিয়া কেবল হত্যাকারীকে, সে যে-ই হোক না কেন, প্রাণদণ্ড দানের নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। তাহার ভাই, এখানে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার জন্য উত্তরাধিকারীকে ভাই বলা হইয়াছে।

সর্বশেষ খবর