বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর যারাই হাত দিয়েছে তাদের হাত পুড়ে গেছে। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোনো মিডিয়া বন্ধ করা হবে না। সাংবাদিকতার জন্য কাউকে জেলে যেতে হবে না। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রথমেই সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল করে দৃঢ় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করব।’ গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ আয়োজিত ‘সাংবাদিকদের স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ এসব কথা বলেন। দীর্ঘদিন পর প্রেসক্লাবে এই কর্মসূচিতে যোগ দিলেন তিনি। সর্বশেষ ‘বাংলাদেশ : ইমারজেন্সি অ্যান্ড দ্য আফটারম্যাথ : ২০০৭-২০০৮’ নামে তার একটি বই প্রকাশের পর দলের ভিতরে বাইরে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর অনেকটাই নিশ্চুপ ছিলেন মওদুদ। বিচারপতিদের অভিশংসন প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব। নির্বাচন কমিশন, দুদক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন করে দেওয়া হবে।’ সংসদকে কার্যকর করতে বিরোধী দলকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে বলেও জানান সাবেক এই মন্ত্রী। মওদুদ বলেন, যে কোনো স্বৈরাচারী সরকার গণমাধ্যম ও মানুষের সমালোচনাকে ভয় পায়। তাই তাদের কণ্ঠ রোধ করে। বর্তমান সরকারও গণতন্ত্রের আবরণে স্বৈরাচারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। তিনি বলেন, ক্ষমতার জন্য এই সংগ্রাম নয়। এ ব্যাপারে জনগণকে বোঝাতে পারলে তারা আস্থা পাবে আন্দোলনে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। আন্দোলনে নামলেই তা প্রকাশ পাবে। সভায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ। -নিজস্ব প্রতিবেদক