শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

শ্যালা নদীতে নৌ চলাচল বন্ধের সুপারিশ

দেশে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল

সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকারের দুর্ঘটনায় ফিটনেসবিহীন জাহাজ চলাচল ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির সদস্যরা মনে করেন, মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণেই ত্রুটিপূর্ণ জাহাজটি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে পেরেছিল। বিপর্যস্ত সুন্দরবন পর্যবেক্ষণ শেষে গতকাল জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ অভিযোগের তর্জনী তোলেন নৌ মন্ত্রণালয়ের দিকে। এর আগে সংসদ ভবনে হোসেন, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, টিপু সুলতান, মজিবুর রহমান চৌধুরী এবং মেরিনা রহমান অংশ নেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সুন্দরবনে যে জাহাজটি ডুবে যায় তার কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না। কীভাবে একটি ফিটনেসবিহীন জাহাজ তেল নিয়ে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করে তা জানতে চাওয়া হয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে। প্রতিদিন বহু ফিটনেসবিহীন জাহাজ তেল নিয়ে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে চলাচল করে বলেও জানান তিনি। সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় কমিটি সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধের সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া জাহাজ ডুবির পর তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা না থাকায় বৈঠকে হতাশা ব্যক্ত করা হয়। তেলবাহী জলযান ডুবির কারণে সুন্দর বন এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদি কিরূপ প্রভাব পড়বে এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট যত দ্রুত সম্ভব প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনা-কবলিত এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৮০০ লিটার ফার্নেস অয়েল সংগ্রহ করা হয়েছে। পানির অক্সিজেনের গড় মাত্রা ৬ দশমিক ৮, যা সহনীয়। গ্রিজ ওয়েলের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বৈঠকে সুন্দর বনের নৌপথে নৌ-চলাচল বন্ধের জন্য প্রয়োজনে ড্রেজিং করে বিকল্প নৌপথ ব্যবহারের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছিল। সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটির পক্ষ থেকেও সুপারিশ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর