মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

সংশোধিত চার্জশিটেও ভুল

সংশোধিত চার্জশিটেও ভুল

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সংশোধিত সম্পূরক চার্জশিটে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার হবিগঞ্জ আদালতে সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুলের জমা দেওয়া সম্পূরক চার্জশিটে মামলার আসামি হিসেবে দুই আরিফের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে ১১ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আরিফুল হক চৌধুরীর নাম। এ ছাড়া মুফতি হান্নানের জবানবন্দির বরাত দিয়ে চার্জশিটের ২১ নম্বর পৃষ্ঠায় সিলেটে পরিকল্পনা মতো কাজ করতে লুৎফুজ্জামান বাবর যে দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের নাম হিসেবে রয়েছে জি কে গউছ ও আরিফুল ইসলাম আরিফ (ওয়ার্ড কমিশনার)। চার্জশিটের তৃতীয় পৃষ্ঠায় আরিফুল হক চৌধুরীর যে স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া হয়েছে তাতেও গ্রামের নাম ভুল রয়েছে। আরিফুল হক চৌধুরীর গ্রাম পুবাট্টা উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে তার গ্রাম হচ্ছে উবাহাটা। তবে চার্জশিটে উল্লিখিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বর্তমান ঠিকানা সঠিক রয়েছে। জানা যায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মুফতি হান্নানের দেওয়া জবানবন্দিতে আসামি করা হয় ঢাকা সিটি করপোরেশনের সিদ্ধেশ্বরীর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম আরিফকে। ওই মামলায় আরিফুল ইসলাম আরিফ জেলও খেটেছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটেও মুফতি হান্নানের জবানবন্দির বরাত দিয়ে যে আরিফের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তিনি হচ্ছেন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ। চার্জশিটে দুই আরিফের নাম উল্লেখ থাকায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। মুফতি হান্নান তার জবানবন্দিতে সিদ্ধেশ্বরীর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম আরিফ না সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম বলেছেন তা নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মুফতি হান্নান তার জবানবন্দিতে দুজন আরিফের কথা উল্লেখ করেছেন। একজন সিদ্ধেশ্বরীর কমিশনার ও অপরজন সিলেট সিটি করপোরেশনের তৎকালীন কমিশনার। মুফতি হান্নান আরিফুল হক চৌধুরীর সঠিক নাম হয়তো জানেন না বলেই আরিফুর রহমান আরিফ বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন। -নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সর্বশেষ খবর