বুধবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

অস্ত্র কেড়ে নিয়ে আবার পুলিশ পেটাল শিবির

অস্ত্র কেড়ে নিয়ে আবার পুলিশ পেটাল শিবির

রাজশাহীতে গতকাল অস্ত্র কেড়ে পুলিশ সদস্য আমজাদকে পেটান শিবির কর্মীরা। তাকে রক্ষার জন্য গেলে হামলার শিকার হন শফিকুল - বাংলাদেশ প্রতিদিন

আবারও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন ছাত্রশিবির কর্মীরা। রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকার আলিফ লাম মিম ভাটার সামনের মহাসড়কে গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত পুলিশ কনস্টেবল আমজাদ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আরেক কনস্টেবল শফিকুল ইসলামকে। নগরীর শাহ মখদুম থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভুইয়া জানান, আলিফ লাম মিম ভাটার সামনে থেকে পুলিশের একটি গাড়ি থানার দিকে আসার সময় শিবিরকর্মীদের হামলার মুখে পড়ে। তারা শটগান কেড়ে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন কনস্টেবল আমজাদ হোসেনকে। তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে হামলার শিকার হন কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম।   বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে অবরোধের সমর্থনে শিবিরকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং রাস্তায় পেট্রল ঢেলে আগুন দেন। আলিফ লাম মিম ভাটার সামনে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান তাদের ধাওয়া খেয়ে পালায়। তবে কনস্টেবল আমজাদ ও শফিকুল গাড়িতে উঠতে ব্যর্থ হলে হামলার শিকার হন। রাস্তার পাশে ফেলে আমজাদ হোসেনকে ইট ও তার শটগান কেড়ে নিয়ে মারধর করেন শিবির কর্মীরা। শফিকুল এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত হলে শিবিরকর্মীরা পালিয়ে যান। তারা পুলিশের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া শটগানটি ফেলে যান। দুই পুলিশ সদস্যকে পেটানোর এ ঘটনার ভিডিও এখন ইন্টারনেটেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজশাহীসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশ সদস্যদের পিটিয়েছিলেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা। নগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান, শিবিরের হামলায় আমজাদ হোসেনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। আর শফিকুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজশাহীতে হরতালে বিভিন্ন স্থানে উত্তাপ ছড়িয়েছে শিবির। পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে সোমবার নিহত মজির উদ্দিনকে কর্মী দাবি করে জেলা বিএনপি গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। নগরীর কয়েকটি এলাকায় ভাঙচুর চালিয়েছেন শিবির কর্মীরা। সকাল ৮টার দিকে দড়িখরবোনা মোড় থেকে মিছিল বের করে বিএনপি। নেতৃত্ব দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। মিছিল শেষ করে নেতারা চলে যান। এরপরই মাঠে নামে শিবির। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিবিরকর্মীরা সোনাদীঘির মোড়ে ভাঙচুর চালান। র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা গেলে তারা পালিয়ে যান। এর আগে সোমবার রাতে মতিহারে ফল গবেষণা কেন্দ্রের সামনে অবরোধ ও হরতাল সমর্থকরা একটি ট্রাক ভাঙচুর ও একটিতে আগুন দেন। পুঠিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর