বুধবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের নিষ্পত্তি

স্পিকারের সমমর্যাদায় প্রধান বিচারপতি

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। ফলে এখন থেকে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের তৃতীয় অবস্থানে স্পিকারের সঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিশেষভাবে নিযুক্ত আইনজীবী আবদুর রব চৌধুরী। বিচারকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১৯৭৫ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে প্রধান বিচারপতির পদমর্যাদাক্রম স্পিকারের সঙ্গে তৃতীয় ক্রমিকেই ছিল। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তা পরিবর্তন করে প্রধান বিচারপতিকে চতুর্থ ক্রমিকে রাখা হয়। এর আগে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় থাকলেও এ রায়ের ফলে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা এখন থেকে কেবিনেট মিনিস্টারের সমঅবস্থানে থাকবেন। হাইকোর্টের বিচারপতিরা প্রতিমন্ত্রীদের সমঅবস্থানে থাকবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থান থাকবে প্রজাতন্ত্রের সব সচিবের ওপরে। নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় এমপিদের অবস্থান থাকবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান এবং মুখ্য সচিবের ওপরে। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলরা হবেন সচিব পদমর্যাদার। এ ছাড়া জেলা জজদের অবস্থান হবে সচিব পদমর্যাদার। উল্লেখ্য, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতার চ্যালেঞ্জ করে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে তৎকালীন মহাসচিব বিচারক আতাউর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জেলা জজদের মর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। রায়ে একই সঙ্গে বিচারকদের পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে নতুনভাবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করতে বলা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

সর্বশেষ খবর