শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
রকিবুল হাসানের কলাম

চোখ এখন অ্যাডিলেডের দিকে

চোখ এখন অ্যাডিলেডের দিকে

চোখ এখন অ্যাডিলেডের দিকে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। দুর্বল প্রতিপক্ষ বলে আগেই আমি টাইগারদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু টার্গেট ৩১৯ রান হওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। সত্যি বলতে আমি কেন, পুরো দেশবাসী শঙ্কিত ছিলেন মাশরাফিরা এ রানের পাহাড় অতিক্রম করতে পারবেন কিনা। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। এখানে অসম্ভব বলে কোনো শব্দ নেই। টাইগাররা কিন্তু নেলসনে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। শুধু বিশ্বকাপ বললে ভুল হবে। অনেক দিন পর বাংলাদেশের চমৎকার ব্যাটিং উপভোগ করলাম। তামিমের ব্যাটিং নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছিল। কিন্তু স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন। ৯৫ রানে আউট হয়ে যাওয়ায় শুধু তামিম নয়, আফসোস আমারও হচ্ছে। কেননা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি করার প্রথম সুযোগ এসেছিল। মাত্র ৫ রানের জন্য সেই কৃতিত্ব থেকে বঞ্চিত হলো পুরো জাতি। শুধু তামিম নয়, রিয়াদ, মুশফিক ও সাকিব চমৎকার ব্যাটিং করেছেন। এক ম্যাচে চার হাফ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ যে কতটা শক্তিশালী ব্যাটিং প্রদর্শন করেছে এতেই বোঝা যায়।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে আমি মুগ্ধ। যাক, এ অভূতপূর্ব জয়ের পরও আমাদের কোয়ার্টার ফাইনাল এখনো নিশ্চিত হয়নি। ৯ মার্চ অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হবে। প্রিয় পাঠক, ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেলেও কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ। যদি গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে। কিংবা বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পরও ইংল্যান্ড যদি আফগানিস্তানের কাছে হেরে যায়। দুটো সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ইংল্যান্ডকে হারানোটা জরুরি হয়ে পড়েছে। এবার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড কেন জানি সুবিধা করতে পারছে না। একমাত্র জয় পেয়েছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এমন কঠিন জয় পাওয়ার পর মাশরাফি-সাকিবদের আত্মবিশ্বাসটা নিঃসন্দেহে বেড়ে গেছে। কিন্তু শুধু আত্মবিশ্বাসের জোরে তো আর ম্যাচ জেতা যায় না। মাঠে ভালো খেলতে হবে। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ। সুতরাং ইংলিশদের নিয়ে আমি ভয়ের কিছু দেখছি না। ব্যাট ও বলে দুটোতে ভালো খেলতে পারলে ম্যাচ জেতা অবশ্যই সম্ভব। একটা কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছি না। বাজে ফিল্ডিং হলে বিপর্যয় কেমন হতে পারে তা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রমাণ পেয়েছি। তা ছাড়া স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেও তাদের ব্যাটিং লাইন এতটা শক্তিশালী না যে ৩১৮ রান তুলবে। এর জন্য আমি অবশ্যই বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের সমালোচনা করব। মনে রাখতে হবে ইংল্যান্ড কিন্তু ম্যাচ জিততে মরণকামড় দেবে। তারা চাইবে বিশ্বকাপে টিকে থাকতে, নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে। সুতরাং ৯ মার্চ বাংলাদেশকেও সেই রূপে খেলতে হবে। পুরো জাতি চেয়ে থাকবে ম্যাচটির দিকে। আমি আশা রাখি মাশরাফিরা আমাদের হতাশ করবেন না। ৯ মার্চ যেন পুরো জাতির উৎসবের দিন হয় এমন স্মরণীয় ম্যাচ খেলতে হবে সেদিন।

সর্বশেষ খবর