মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
মোদি-মমতা বৈঠক

তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশ থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে সহযোগিতার পথেই চলতে চান তিনি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি রূপায়ণের সম্ভাবনা আরও কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, গতকাল দুই নেতা বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন। মমতা তার গত মাসে করা ঢাকা সফরের বিষয়ে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। দুই দেশের মধ্যে বকেয়া স্থলসীমান্ত চুক্তিটি যাতে দ্রুত সংসদে পাস করানো সম্ভব হয় সে ব্যাপারে মোদিকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, এ বিল পাসের ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় কক্ষ সমন্বয়ের ব্যাপারে সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, এ বিল পাসের ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় কক্ষ সমন্বয়ের ব্যাপারে সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করবে তার দল। অন্যদিকে মোদির বক্তব্য, স্থলসীমান্তসংক্রান্ত বিলটি চলতি বাজেট অধিবেশনে সংসদে পাস হলে, এপ্রিলের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশ যেতে চাইছেন। সূত্রের খবর, ওই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে বাইরে অবশ্য বিশদে মুখ খুলতে চাননি মমতা। শুধু জানিয়েছেন, তিস্তার পানিবণ্টন এবং স্থলসীমান্ত চুক্তির মতো বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। বিষয়টি নিয়ে যে দিল্লি আসার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি তিনি দিয়েছিলেন, গতকাল সাংবাদিকদের সে কথাও জানান মমতা। গত মাসে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে মমতা সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন, তিস্তা চুক্তির প্রশ্নে তিনি ইতিবাচক পদক্ষেপই নিতে চান। তবে বিষয়টি নিয়ে যে তাড়াহুড়া করতে চান না তিনি, সে ইঙ্গিতও দিয়ে এসেছিলেন মমতা। পাশাপাশি স্থলসীমান্ত চুক্তিটি যাতে দ্রুত রূপায়িত হয় সে ব্যাপার সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। গতকাল এ ব্যাপারে তার মনোভাবের কথা মোদির সামনে তুলে ধরেছেন মমতা। ঘটনা হলো, কেন্দ্রীয় সরকারও চাইছে চলতি বাজেট অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষে স্থলসীমান্ত চুক্তিসংক্রান্ত বিলটি পাস করিয়ে নিতে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল তার আপত্তি তুলে নিলেও এ ব্যাপারে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আসামের রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি আসাম নেতৃত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। অমিত শাহ তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত চুক্তি ভারতের জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে কেন্দ্র ইতিমধ্যে মনস্থির করে ফেলেছে। আসাম বিজেপি নেতাদের উচিত নিজ নিজ নির্বাচনি ক্ষেত্রে গিয়ে এ চুক্তির তাৎপর্য মানুষকে বোঝানো। গতকালের বৈঠকে মোদি মমতাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এ বকেয়া চুক্তিটি রূপায়ণের প্রশ্নে তৃণমূলের সমর্থন, নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের বাংলাদেশ নীতিকে শক্তিশালী করবে।

সর্বশেষ খবর