বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

দুদকের কাছে প্রত্যাশা অনেক

দুদকের কাছে প্রত্যাশা অনেক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ‘সরকারের অধিদফতর’ হিসেবে কাজ করছে। সেখান থেকে দুদককে সরে আসতে হবে। দেশে ক্ষুদ্র লেভেলে দুর্নীতি রোধ করতে হবে, যাতে মানুষের দৈনন্দিন সেবা পেতে কোনো ঘুষ দিতে না হয়। গতকাল দুদক আয়োজিত দুর্নীতির প্রতিকার বিষয়ে এক সেমিনারে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা এ তাগিদ দেন। দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০১৫ উদযাপন উপলক্ষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও প্রশাসনিক সংস্কার, দুয়ে মিলে হতে পারে দুর্নীতির প্রতিকার’ শীর্ষক এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী, দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, কমিশনার (অনুসন্ধান), ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল মান্নান, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম জমির, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, সাংবাদিক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, রাহাত খান, কাজী সিরাজ ও সোহরাব হাসান, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো. মোহাব্বত খান। তার অনুপস্থিতিতে প্রবন্ধটি পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। বিশিষ্টজনেরা বলেন, সত্যিকারভাবে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে দুদককে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আর এর জন্য দুদককে দৃশ্যমান কিছু করতে হবে। তবে দুদকের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় কাজ করতে গিয়ে আমরা মাঝেমধ্যে হোঁচট খাই। অন্যান্য দফতর থেকে প্রত্যাশামতো সহায়তা না পাওয়ার কারণে এটা হয়।’ এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, দুদকের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সে প্রত্যাশার মূল্য দিতে হলে দুদককে বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামো থেকে মুক্ত হতে হবে। ‘স্বাধীন হতে হলে অধিদফতর স্ট্যাটাস থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব দুদককেই নিতে হবে’। তিনি বলেন, ঘুষ গ্রহণের দিকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাংলাদেশের। যে কোনো কাজে ঘুষ দিতে হয়। এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, দুর্নীতি রোধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার অবশ্যই থাকতে হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক সংস্কারও থাকতে হবে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার হয়নি। মানুষ এখন দুর্নীতি করতে ভয় পায় না। দুর্নীতি করতে ভয় পাওয়া শেখাতে হবে। আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখন শুধু দরকার সচেষ্ট হয়ে দুর্নীতি রোধে কাজ করা। ড. ইফতেখারুজামান বলেন, জাতীয় সংসদকে কার্যকর করতে হবে। সংসদ যে দেশে কাজ করে না, সংসদীয় কমিটি যে দেশে কাজ করে না, সে দেশে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে না।-নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ খবর