আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করছেন। নির্বাচনে উনার প্রার্থীদের ভরাডুবি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করে ভোটের আগে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন। উদর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টাও করছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে এক কথা বলেন, নির্বাচনের পরে আরেক কথা বলেন। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন আমু বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন মামলা থেকে বাঁচার জন্য তিনি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চান। উনার দলীয় ব্যর্থতার কারণে প্রার্থী দিতে পারেননি। চট্টগ্রামের আমীর খসরু মাহমুদ ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে প্রার্থী করতে পারেননি। আবদুল আউয়াল মিন্টু ছিল তার দলের প্রার্থী। কিন্তু সে প্রার্থী হতে পারেনি। তার ছেলে প্রার্থী হয়েছে। তাকে কেউ চেনে না। শিল্পমন্ত্রী বলেন, পেট্রলবোমার আন্দোলনে বিফল হয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনে এসেছেন। নির্বাচন বানচাল করে আবার কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় কিনা সেই চেষ্টাও করেছেন। এই দেশে উনি আবার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি অভিযোগ তাদের আমলেই শুরু হয়েছে। গত ৩ মাসে পেট্রলবোমায় নিহতদের প্রতি তিনি সমবেদনা জানাননি। উনার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। খালেদা জিয়ার নিজ দলের নেতারাই অভিযোগ করেছেন তিনি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আঁতাত করে ঘরে ফিরে গেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আবদুল মান্নান খান, অসীম কুমার উকিল, আফজাল হোসেন, ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, আবদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।