মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

কারণ নেই ভোট না দিতে পারার

কারণ নেই ভোট না দিতে পারার

সিটি নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন কিনা- এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না, এমন মনে করার তো কারণ দেখি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু দেখেছি এবং আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধি-বিবেচনায় যতটুকু বুঝি তাতে ভোট দিতে না আসার কোনো যৌক্তিক কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না। এখন আপনি যদি ভোট দিতে না যান সেটা আপনার ব্যাপার।’ গতকাল সকালে যশোরে শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অনুষ্ঠিত এক অবহিতকরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিরোধী নেতা-কর্মীদের হয়রানি প্রসঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনি বলবেন সব কিছু বন্ধ করে দিলাম, আমি না মানলে আপনি বাধ্য করবেন মানতে- এটা যেমন মানবাধিকার লংঘন, তেমনি কাউকে অযথা হয়রানি করাও মানবাধিকার লংঘন।’
সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ও সাইভ্যাক বাংলাদেশের অর্থায়নে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি প্রকল্পের অধীনে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে। শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মো. হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক এবং জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় ‘শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক। আলোচনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি হারুন অর রশিদ, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যশোর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর রোকেয়া পারভীন ডলি প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিশুদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না। সভা-সমাবেশ যেমন রাজনৈতিক অধিকার, তেমনি এই আয়োজনের সঙ্গে শিশুদের বিরত রাখাও শিশু অধিকার। কিন্তু আমরা দেখছি শিশুদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার বানানো হচ্ছে।’ -নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

সর্বশেষ খবর