বুধবার, ৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

দ্বন্দ্বে জড়িয়ে প্রেস রিলিজেই সীমাবদ্ধ হেফাজত

থমকে গেছে আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম। ঢাকা অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও বর্তমানে সংগঠনটির তেমন কোনো তৎপরতাই নেই। শুধু মাঝে-মধ্যে আমির আল্লামা আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠানো হয়। হেফাজতে ইসলামের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনেকে সংগঠনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। সে কারণেই প্রেস রিলিজে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে কার্যক্রম।

অবশ্য, সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনীতির কারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার পরিবেশ নেই। তবে সাংগঠনিক কার্যক্রম আগের মতোই চলছে।'

কর্মীদের অভিযোগ, আমিরের ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী, কেন্দ্রীয় নেতা কাতেব ইলিয়াছ ওসমানী, জুনায়েদ আল হাবিব ও নুর হোসেন কাসেমীসহ কয়েকজন নেতার আগ্রহ না থাকায় কোনো কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে না। চলছে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব। তবে কোন্দলের কথা অস্বীকার করেছেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, 'সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কারওই ক্ষমতার প্রতি লোভ নেই। তাই কোন্দলের প্রশ্নই আসে না।'

জানা যায়, গত বছর ২৩ মে সংগঠনের ২২১ সদস্যের মজলিশে শূরা ও ৩৫ সদস্যের মজলিশে আমেলা কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটি গঠনের পরই কোন্দল তীব্র হয়। বিভিন্ন বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় নেতারা পক্ষে-বিপক্ষে বিবৃতি দেওয়া শুরু করেন। আমিরের হস্তক্ষেপে প্রকাশ্য বিরোধ কিছুটা মিটলেও অন্তরালে চলছে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। এ কারণে বেশ কয়েকবার ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসমাবেশ, বিক্ষোভ, ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনসহ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হলেও বিভিন্ন অজুহাতে তা স্থগিত করা হয়।

সূত্রমতে, ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশি অভিযান ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে মামলা দায়েরের পরই আত্মগোপনে চলে যান হেফাজতে ইসলামের সক্রিয় নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ কয়েকটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক হয়ে যায় হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম।

 

সর্বশেষ খবর