শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইসির ব্যয় ২০ কোটি টাকা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইসির ব্যয় ২০ কোটি টাকা

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচন কমিশনের ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এবারে নির্বাচনী দায়িত্বে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮০ হাজার সদস্য। জানা গেছে, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের পেছনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যয় হয়েছে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া  প্রায় ৫ শতাধিক নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের পেছনে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদাপত্র এলে এ ব্যয় আরও বাড়তে পারত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা। গত ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিল মোট চার দিন তারা দায়িত্ব পালন করেন। ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, যে কোনো নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। সিটি নির্বাচনে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে অন্য যে কোনো নির্বাচন থেকে সর্বোচ্চ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে এ নির্বাচনে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী কোনো বাজেট বরাদ্দ চায়নি। পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ড নির্বাচন উপলক্ষে আগাম বরাদ্দ চেয়েছিল। এর মধ্যে পুলিশ ৬০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, আনসার ১০ কোটি টাকা, কোস্টগার্ড ১২ লাখ এবং বিজিবি প্রায় ২ কোটি টাকা। র‌্যাবের পক্ষ থেকে আগাম চাহিদাপত্র না পাওয়া গেলেও তাদের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব সংস্থাকে তাদের বরাদ্দ থেকে কমিয়ে নির্বাচন কমিশন পুলিশকে দিয়েছে ৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, আনসারকে ৭ কোটি ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬২ টাকা, বিজিবিকে ১ কোটি ৩০ লাখ ২৫ হাজার ৫২০ টাকা এবং কোস্টগার্ডকে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫২০ টাকাসহ মোট ১৯ কোটি ৪২ লাখ ৪ হাজার ৪৪২ টাকা। তারা জানান, নির্বাচনে পুলিশ সবসময় অস্বাভাবিক বাজেট চায়। এবারও তাই চেয়েছে। কমিশন বিবেচনা করে ৬০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা মধ্যে কাটছাঁট করে ৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচনী বাজেট শাখার উপ-সচিব মো. সাজাহান বলেন, তিন সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভিন্ন পর্যায়ে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। তবে অন্যান্য যে কোনো বাহিনীর তুলনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যের সংখ্যা বেশি থাকায় তাদের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, এবারের সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ছিলেন ৪৮ জন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার) ৪৯ হাজার ৩৩৩ জন, নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৫০০ জন। এ ছাড়া পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলার সদস্য ছিলেন প্রায় ৮০ হাজার। এর মধ্যে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। বাকি সদস্য ছিল পুলিশ, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন, আনসার-ভিডিপি ও চৌকিদার-দফাদার। তবে সেনাবাহিনী ছিল ক্যান্টনমেন্টে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে; রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধে তাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নামানোর কথা ছিল।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটির জন্য নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে মোট বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকায় নির্বাচন পরিচালনায় ১৩ কোটি, আইনশৃঙ্খলায় ২২ কোটি ও চট্টগ্রামে যথাক্রমে ৭ কোটি ও ৮ কোটি টাকা।

সর্বশেষ খবর