বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ক্ষতি করে না : তোফায়েল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভারত-চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের ট্যারিফ, নন-ট্যারিফ যেসব পণ্যের সমস্যা রয়েছে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। তবে ভারতের সঙ্গে খুব শিগগিরই বৈষম্য দূর হবে না। তিনি বলেন, বৈষম্য সব সময় ক্ষতি করে না, বরং কখনো লাভ হয়। ভারতের সঙ্গে যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তা আমাদের ক্ষতি করে না। বরং লাভ।
জাতীয় সংসদে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের এনামুল হকের (রাজশাহী-৪) পক্ষে হুইপ শহিদুজ্জমান সরকার উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে আমরা এমন সব পণ্য আমদানি করি যা খুব প্রয়োজনীয়। তুলা, সুতা আনি। এগুলো দিয়ে পোশাক তৈরি করা হয়। ভারতের সঙ্গে প্রধান বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি পোশাকে। তবে ভারতের বাজারে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন না ব্যবসায়ীরা। কারণ তাদের বাজারে তৈরি পোশাক এত বেশি উৎপাদন হয় যে আমাদের তৈরি পোশাক সেখানে রপ্তানি করা লাগে না। তার পরও ব্যবসায়ীদের বলব আপনারা ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি করুন। লিখিত উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূরীকরণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়ার (সাফটা) আওতায় অন্য সার্কভুক্ত দেশ থেকে বহু পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতে রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারতের গৌহাটি, কলকাতা, নয়া দিল্লি, শিলচর, মুম্বাই, রাঁচি ও ভুবনেশ্বরে বাংলাদেশি পণ্যসম্ভার পরিচিত করার জন্য নিয়মিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়া হচ্ছে। সার্কভুক্ত অন্য দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়ও নিয়মিত অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি ২৮ হাজার ১৪৪ মিলিয়ন ডলার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-মে প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে ২৮ হাজার ১৪৪ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ভবিষ্যতে রপ্তানি আয় আরও বৃদ্ধির জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারি দলের সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য ছয়টি। তৈরি পোশাক (নিটওয়ার ও ওভেন গার্মেন্টস), চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য (পাদুকাসহ), পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হোমটেক্সটাইল এবং কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। এ নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের ফার্নিচার শিল্প, জাহাজ শিল্প, আগর উড্ ও আতর, হীরা (কাটা ও পলিশ করা), পাঁপড় ইত্যাদি নতুন পণ্যকে রপ্তানি পণ্যের ঝুড়িতে অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর