বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিজিবির ক্ষমতা বাড়ছে এমপিরা পাবেন ২০ কোটি টাকা

একনেকে ৮ প্রকল্প অনুমোদন

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও মানব পাচার রোধে এবং ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের চোরাচালান বন্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল একনেক সভায় এ সংক্রান্ত দুটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি প্রকল্প নতুন এবং অপরটি সংশোধিত। অনুমোদিত প্রকল্প দুটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি টাকা। এ ছাড়া গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় মোট ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া  হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১০ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৮ হাজার ৭০৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৯৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৪৪৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। একনেক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইক্যুইপমেন্ট ফর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (প্রথম সংশোধিত) নামক প্রকল্পের আওতায় বিজিবির জন্য জিএসপি মেশিন উইথ কলিগ পজিশন, থার্মাল ইমেজিং বাইনোকুলার, ফগার মেশিন, নাইট ভিশন গোগলস, স্যাটেলাইট ফোনসহ প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস কেনা হবে। ফলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মানব পাচার ও মাদক চোরাচালান কমে আসবে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৬০টি ‘বিওপি নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সীমান্ত এলাকায় ৬০টি বর্ডার আউটপোস্ট নির্মিত হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সীমান্তে সর্বমোট ৮৮৩টি ক্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে ৬৬৭টি ক্যাম্পের ভবন ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের একুশটি সীমান্তবর্তী জেলার ৬০টি ক্যাম্পের ভবন নির্মাণ করা হবে। ফলে বিজিবির সদস্যরা স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ আবাসন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীর ১৯টি পুরনো জরাজীর্ণ অস্ত্রাগারের স্থলে পর্যাপ্ত সুবিধাসহ আধুনিক অস্ত্রাগার নির্মাণ করবে সরকার। এ জন্য সভায় ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এদিকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ৬টি নতুন জাহাজ ক্রয় করবে। একনেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনটি তেলবাহী জাহাজ এবং বাকি তিনটি পণ্যবাহী জাহাজ। প্রতিটি জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৩৯ হাজার টন। অন্যদিকে নিজ এলাকায় রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট প্রভৃতি অবকাঠামো নির্মাণের জন্যে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেবে সরকার। ২৮৪ জন সংসদ সদস্য বছরে চার কোটি টাকা করে পাঁচ বছরে এ পরিমাণ টাকা পাবেন। সিটি করপোরেশন এলাকার ১৬ জন সংসদ সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা আপাতত এ বরাদ্দ পাবেন না। তবে অচিরেই সিটি করপোরেশন এলাকার সংসদ সদস্যদের জন্য আলাদা একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ নামক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্যে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে।

সর্বশেষ খবর