বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

পারল না টাইগাররা

অ্যারন ফাঙ্গিসোকে যখন মাশরাফি পর পর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান, তখন উপস্থিত হাজার পনের দর্শক দাঁড়িয়ে পড়েন গালারিতে। অপেক্ষা আরও একটি ছক্কা দেখা। চেষ্টাও করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু ওই চেষ্টা পর্যন্তই। অধিনায়কের মতো কালও চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা আর হয়নি। প্রথম ম্যাচের সঙ্গে ব্যবধান হয়তো কমেছে, এড়াতে পারেনি হার। বরং টানা দুই ম্যাচের হারে টি-২০ সিরিজটাই হেরে গেছে বাংলাদেশ। প্রথমটিতে ৫২ রানের পর কাল হারলো ৩১ রানে। টি-২০ সিরিজ শেষ। এখন প্রস্তুতি ওয়ানডে সিরিজের। যা শুরু ১০ জুলাই।
স্পিনে দুর্বল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভাবনায় বদলে ফেলা হয় মিরপুরের উইকেট। বানানো হয় স্পিন উইকেট। উইকেট তার আচরণ ঠিকই করেছে। কিন্তু আচরণটা বুমেরাং হয় পড়ে বাংলাদেশের জন্য। প্রতিপক্ষ প্রোটিয়াদের ঘায়েল করতে যে উইকেট বানানো হয়, সেই উইকেটই মরণফাঁদ হয়ে দেখা দেয় মাশরাফিদের। দুই প্রোটিয়াস স্পিনার ফাঙ্গিসো ও এডি লি মারণঘাতী হয়ে দুমড়ে মুচড়ে দেন বাংলাদেশকে। দুজনের ঘূর্ণিতে বারবার বোকা হয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। এরই মধ্যে বিধ্বংসী ছিলেন অভিষিক্ত লেগ স্পিনার লি। ৩ ওভারের স্পেলে ১৬ রানের খরচে সাজঘরে ফেরত পাঠান সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানকে। তার লেগ স্পিন কিংবা গুগলী যতটা দুর্বিষহ ছিল, ততটাই নির্বিষ ব্যাটিং ছিল মুশফিকদের। প্রথম ম্যাচে ৫২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও স্পিনাররা ছিলেন সফল। উইকেট দেখে কাল সফরকারীরা তিন স্পিনার দিয়ে একাদশ সাজায়। স্পিনার সোহাগ গাজীকে বসিয়ে রনি তালকুদারকে নিয়ে খেলতে নামে স্বাগতিকরা। আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে নেমেও কাজের কাজ করতে পারেনি মাশরাফিবাহিনী। প্রতিপক্ষের ১৭০ রান তাড়া করে থেমে যায় ১৩৮ রানে। টাইগারদের গুঁড়িয়ে দেয় তিন প্রোটিয়াস ডেবিড ওয়েইস , ফাঙ্গিসো ও লি। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে ইনফর্ম সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। অভিষেকে খেলতে নেমে ২২ বলে ২১ রান করেন রনি তালুকদার। কালও টস জিতে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কুইন ডি কক ১০.৩ ওভারে ৯৫ রানের ভিত দেন। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতকে কাজে লাগিয়ে সফরকারীরা ১৬৯ রান করে ২০ ওভারে। তবে রান আরও হতো, যদি না টাইগার স্পিনার নাসির, আরাফাতরা চেপে ধরতেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১১-১৮ ওভারে রান উঠে মাত্র ৪২। শেষ দুই ওভারে অবশ্য ডেবিড মিলার আগ্রাসী ব্যাটিং করে তুলে নেন ৩২ রান। এরই মধ্যে সাকিবের ওভারে দুই ছক্কায় রান নেন ১৯। শেষ ওভারে মুস্তাফিজ দেন ১৩। ১৭০ রানের টার্গেটে ৬ ওভারে ৫২ রান তুলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর