সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী

দক্ষ ও দেশপ্রেমিকদের পদোন্নতি দিতে হবে

দক্ষ ও দেশপ্রেমিকদের পদোন্নতি দিতে হবে

ঢাকা সেনানিবাসের কনফারেন্স হলে গতকাল সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৫ -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনা বাহিনীর নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিকতর যোগ্য, দক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের উচ্চতর পদে পদোন্নতি দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেলদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার-বিশ্লেষণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে। সেনাবাহিনীতে যারা নেতৃত্ব দেবেন তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা অধীনস্থদের প্রতি যত্নবান হবেন।’      
তিনি গতকাল সেনা সদর দফতরে সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৫ এ ভাষণকালে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আওয়াল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মাদ শফিউল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আদর্শগতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সামরিক বাহিনীর জন্য মৌলিক এবং মুখ্য বিষয়। এটি আপনাদের সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেশপ্রেমিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কর্মকর্তাদের হাতে ন্যস্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পদে পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং নেতৃত্বের যোগ্যতাকে বিবেচনায় নিতে জেনারেলদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, উপযুক্ত ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমেই যে কোনো বিজয় বা সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। শৃঙ্খলাকে একটি সুসংগঠিত বাহিনীর মেরুদণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদোন্নতির প্রশ্নে শৃঙ্খলার বিষয়টি অন্য কোনো গুণাবলীর সঙ্গে তুলনীয় নয়। এ জন্য শৃঙ্খলার সঙ্গে কোনো রকম আপস অবশ্যই বর্জন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পদোন্নতির জন্য জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষাসহ জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকেও মূল্যায়নের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার কাজে হাত দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অবিচল আস্থা, গভীর বিশ্বাস এবং অকৃত্রিম ভালোবাসা। এ জন্য তিনি নিজ সন্তানদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত করেছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেনাবাহিনীর উন্নয়নে কাজ করেছে- এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ছয় বছরে তার সরকারের আমলে সেনাবাহিনীর জন্য যা কাজ হয়েছে এর আগে তা আর কোনো সরকারের আমলে হয়নি।

সর্বশেষ খবর