মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে পে-স্কেল

মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে পে-স্কেল

সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী সোমবার মন্ত্রিসভায় উঠবে। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের (বেমসা) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো সুপারিশ করে ফরাসউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেতন কমিশন। তাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ও সর্বনিু ৮ হাজার ২০০ টাকা বেতনের প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাপ্ত সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। এই সুপারিশের পর বেতন কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার নেতৃত্বাধীন সচিব কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি গত ১৩ মে অর্থমন্ত্রীর কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। সেখানে বেতন কমিশনের সুপারিশ কিছুটা পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ ধাপে ৭৫ হাজার টাকা ও সর্বনিু ধাপে আট হাজার ২৫০ টাকা সুপারিশ করা হয়। তবে বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সচিব কমিটিও টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করে। এ নিয়ে নিচের দিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জটিলতা তৈরি হয় সরকার অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়েও। ফলে জুলাইয়ের আগে বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি সচিব কমিটির পক্ষে। অর্থমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় যখনই বাস্তবায়ন করা হোক না কেন, ১ জুলাই থেকেই তা কার্যকর হবে। কিছু দেরি হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বকেয়া হিসেবে বেতন পাবেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন স্কেলে ১ জুলাই থেকে শুধু মূল বেতন পাবেন। ভাতা পাবেন আরও পরে। -নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈঠক নিয়ে বেমসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : এতে বলা হয়েছে, বেমসার নেতারা স্মারকলিপি প্রদান করে অর্থমন্ত্রীকে জানান, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর অনেক শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও নিুমধ্যবিত্ত শ্রেণিভুক্ত বিধায় এই ভ্যাট ও কর আরোপের ফলে পড়াশোনার ব্যয় বেড়ে যাবে এবং আর্থিক সমস্যার কারণে ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।
এসব সমস্যার কথা তুলে ধরে নেতারা শিক্ষা, শিক্ষা কর্মকাণ্ড ও শিক্ষা উপকরণ ভ্যাট ও করের আওতামুক্ত রাখার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান। অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বেমসার বিজ্ঞপ্তিতে।

 

সর্বশেষ খবর