সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে ফাইল প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন। আগামী সপ্তাহের শুরুতে লতিফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের জন্য এ ব্যাপারে শুনানির দিন ধার্য করা হতে পারে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের আইন শাখা একটি ফাইল প্রস্তুত করছে। ফাইলে নির্বাচন কমিশনারদের মতামত নিয়ে শুনানির দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তাদের বক্তব্য শোনার পরই নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। এদিকে দল থেকে বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের পদক্ষেপ নিতে রবিবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। একই দিন লতিফ সিদ্দিকীর একটি চিঠিও আসে ইসিতে, যাতে তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করা হয়। নিউইয়র্কে এক সভায় হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের ধরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্য পদ হারান এ রাজনীতিক। দেশে ফিরে ধর্ম অবমাননার মামলায় কয়েক মাস কারাবাসের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হন লতিফ সিদ্দিকী। দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে উদ্যোগের অংশ হিসেবে তার দল আওয়ামী লীগের মতামত চেয়েছিল ইসি। মতামত জানিয়ে আওয়ামী লীগের দেওয়া চিঠি দলের উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ও সহসম্পাদক এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের হাতে পৌঁছে দেন। দলের প্যাডে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সব সদস্য পদ ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেউ নন। সংবিধানের ৬৬ (৪) অনুচ্ছেদ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২ (১) অনুচ্ছেদ, সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি ১৭৮ ধারা অনুযায়ী টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর সদস্য পদ বাতিলের জন্য অনুরোধ করছি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, আমরা এখনো এ বিষয়ে বৈঠক করিনি। আইন বিধি মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হবে। নির্ধারিত সময় শেষে (১৫ দিনের মধ্যে শুনানি) ইসি এ বিষয়ে রায় দেবে।