শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

কালিয়াকৈরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা খুন

কালিয়াকৈরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা খুন

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম (৪৩) প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রফিকুল উপজেলার টেংরাবাড়ি এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকালে কলেজ মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা চলছিল। একপর্যায়ে কলেজ মাঠের পাশে জনৈক মোশারফের চায়ের দোকানে বসে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম চা পান করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের ১০-১২ জন যুবক অতর্কিতে রফিকুলের ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে কোনো বক্তব্য না দিয়েই দ্রুত মঞ্চ থেকে নেমে হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। মন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তিনি এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শোক দিবসের ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের ৫নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আবদুল আজিজ। অনুষ্ঠান শুরুর কিছু সময় পর সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম। ঘটনার সময় বক্তৃতা রাখছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামসুল হুদা নাঈম জানান, নিহতের পেটে তিনটি, বুকে একটি ছুরিকাঘাতের জখম এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি ওমর ফারুক হামলায় নিহতের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে যুবলীগ নেতাকে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। কারা রফিকুলের ওপর হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল সন্ধ্যার দিকে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও নিহতের লাশ দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান।

সর্বশেষ খবর