শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

আত্মকলহে ব্যস্ত বিএনপি

আত্মকলহে ব্যস্ত বিএনপি

বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা এক নেতার সঙ্গে সম্প্রতি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়েছে। বেশকিছু সময় তাদের মধ্যে এ বিতণ্ডা চলে। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এসে তাদের শান্ত করেন। বিষয়টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কানেও যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে টানাপড়েন সম্পর্ক এখনো চলছে। এর রেশ চলছে নেতা-কর্মীর মধ্যেও। জানা গেছে, এ নিয়ে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের একটি অংশের সঙ্গে নয়াপল্টন কার্যালয়ের স্টাফদের দ্বন্দ্ব চলছে। একইভাবে গুলশান কার্যালয়ের একটি বলয়ের সঙ্গে সারা দেশের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও দূরত্ব রয়েছে। এর আগে সর্বশেষ টানা তিন মাসের আন্দোলন শুরুর আগমুহূর্তে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে দুই প্রভাবশালী সদস্য বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। পরে খালেদা জিয়া তাদের শান্ত করেন। তবে তাদের ওই দ্বন্দ্ব এখনো চলছে। স্থায়ী কমিটির শুধু তারা দুজনই নন, স্থায়ী কমিটিতে অন্তত তিনটি বলয় রয়েছে। এক বলয় আরেক বলয়ের বিরুদ্বে অবস্থান নেয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মাঝেমধ্যেই বলয়ভিত্তিক বাগ্যুদ্ধও হয়। বক্তৃতা-বিবৃতি বা সমাবেশেও তা প্রকাশ পায়। মূলত সারা দেশে বিএনপির সাংগঠনিক চালচিত্র প্রায় একই রকম। দলের নেতা-কর্মীদের বলতে শোনা যায়, বিএনপির শত্রু বিএনপিই। নিজেদের ভিতরকার আত্মকলহের কারণেই সরকারবিরোধী আন্দোলন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হয়রানি থেকে নিজেরা রক্ষার জন্য অনেক এলাকায় কর্মীদের পুলিশের হাতে তুলে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি অনেক নেতা। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। এখানে নেতৃত্বের জন্য কম-বেশি প্রতিযোগিতা থাকবেই। এটাকে কলহ বলা ঠিক হবে না। তার পরও যেসব জায়গায় সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে বিএনপির হাইকমান্ড কাজ করে যাচ্ছে।’  

দলীয় সূত্রে আরও জানা যায়, ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের বাসায় দেখা করতে যান সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। দীর্ঘ সময় পর সদস্যসচিবের সঙ্গে দেখা করলেও তাদের সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়। এমনকি ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে সদস্যসচিবের নেমপ্লেট নামিয়েও ফেলা হয়। এ দুই নেতার মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এখনো রয়েছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এর প্রভাব পড়েছে সর্বশেষ আন্দোলনেও। এ ছাড়া মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে মির্জা আব্বাসের দূরত্ব আগের মতোই। মূলত ঢাকা মহানগরীতে নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন। বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। কেউ কারোর মুখ দেখাদেখি বন্ধ। চলমান আন্দোলনেও একে অন্যের সহযোগিতা পাননি। অনেকটা বিরক্ত হয়েই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদকে মাঠের নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর নিতে পরামর্শ দেন। অবশ্য তাকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকও করা হয়েছে। আবদুস সালাম আজাদ যখন জেলা নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় শুরু করেন, তখনই তাকে আক্রমণ করে দুর্বৃত্তরা। তার মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক দিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। এ বাস্তবতায় বর্তমানে যুবদল আগের মতোই স্থবির হয়ে আছে। ছাত্রদলেও একই অবস্থা। সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সিনিয়র সহসভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে শুরু করে কমিটির বড় একটি অংশ অবস্থান নিয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন বিদ্রোহী অংশ নয়াপল্টন কার্যালয় তাদের দখলেও রাখে। এখন পর্যন্ত ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও ঘোষণা করতে পারেনি। ছাত্রদলের জেলা নেতাদের অনেকেরই বয়স ৪০ পার হয়ে গেছে। বছরের পর বছর ধরে নেই কমিটি। এভাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান খোকনের মধ্যে মতের মিল নেই। মাঠে নেই কোনো কর্মসূচিও। গতকাল যোগাযোগ করা হলে শফিউজ্জামান খোকন বলেন, ‘সভাপতি ভদ্রলোক মানুষ। কিন্তু তিনি বিএনপি করেননি। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে একটি গ্যাপের সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া এখন কোনো কার্যক্রমও নেই। চলছি কোনোমতে।’ মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদীর মধ্যেও রয়েছে দূরত্ব। কোনো কার্যক্রমও নেই এ সংগঠনটির। আর সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে এদের সঙ্গে রাজনীতি করার ইচ্ছা আমার নেই।’  

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এমন অবস্থা যে, শেষ পর্যন্ত একটি পক্ষকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার দুই বছর পর শ্রমিক দলের সপ্তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ১৯ এপ্রিল। এ কাউন্সিলে আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও নুরুল ইসলাম নাসিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। খালেদা জিয়া কমিটির অনুমোদন দেন। কিন্তু শ্রমিক দলের একটি অংশ কমিটি মানেনি। তারা পাল্টা কমিটি ঘোষণা করে ঢাকার শ্রম আদালতে মামলা করে। এ প্রসঙ্গে আবুল খায়ের খাজা বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী কমিটি গঠন করা হয়নি। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন না করে অর্থের বিনিময়ে সিলেক্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা শ্রমিক দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। এ অবস্থায় আমরা শ্রম আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’ মহিলা দলের সভাপতি নূরী আরা সাফা ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানার মধ্যেও দূরত্ব অনেক। দুজনের আলাদা বলয় রয়েছে। ওলামা দলেও বহুমুখী সমস্যা। সভাপতি মাওলানা আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ নেসারুল হকের বিরুদ্ধে কমিটির একটি অংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। তারা পাল্টা কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
চট্টগ্রাম বিএনপিতেও আত্মকলহে জড়িয়ে পড়েছেন নেতারা। এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় চট্টগ্রামের রাজনীতি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ছয় বছর ধরে পাঁচ সদস্যের কমিটি দিয়েই চলছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। সম্প্রতি মহানগর সভাপতি খসরুর সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের সমঝোতা হয়েছে। অন্যদিকে আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনেরও সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম উত্তরে আসলাম চৌধুরী বনাম গিয়াস কাদের চৌধুরীর দ্বন্দ্ব এখন অনেকটাই প্রকাশ্যে। একইভাবে চট্টগ্রাম দক্ষিণের সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক কানাডাপ্রবাসী শাহজাহান জুয়েলের সম্পর্কও তিক্ত। নেতা-কর্মীদের মধ্যেও দ্বিধাবিভক্ত অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। খাগড়াছড়িতে ওয়াদুদ ভূইয়া বনাম সমীরণ দেওয়ান ছাড়াও বান্দরবান, কক্সবাজারসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে আত্মকলহ বিরাজ করছে। 

এ ছাড়া বিভিন্ন জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। কেরানীগঞ্জে গয়েশ্বর রায়ের সঙ্গে আমান উল্লাহ আমানের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমানের সঙ্গে ঢাকা জেলা সভাপতি এম এ মান্নানের বিরোধ রয়েছে। গাজীপুরে আ স ম হান্নান শাহর সঙ্গে ফজলুল হক মিলনের, রাজশাহীতে মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে নাদিম মোস্তফার, বরিশালে সরোয়ারের সঙ্গে রাজনের, ফরিদপুরে শামা ওবায়েদের সঙ্গে শহিদুল ইসলাম বাবুলের, সিলেটে শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গ্রুপের, কুমিল্লায় হাজী ইয়াসিনের সঙ্গে মনিরুল হক সাক্কুর, পঞ্চগড়ে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের সঙ্গে মোজাহার হোসেনের, মানিকগঞ্জে রিতার সঙ্গে শান্তর, টাঙ্গাইলে অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খানের সঙ্গে শামসুল আলম তোফাসহ সারা দেশেই জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।   

নতুন চিঠিতে শাস্তির খড়গ তৃণমূলে : সর্বশেষ টানা তিন মাস আন্দোলনের আগমুহূর্তে হঠাৎ করেই ১৪টি জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। ওইসব জেলায় কয়েক সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে কেন্দ্র থেকে জোর তাগিদ দেওয়া হয়। কিন্তু কমিটি দূরের কথা, আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পুরনো কোন্দল নতুনরূপে দানা বেঁধেছিল ওইসব জেলায়। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন পুনর্গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন, যার প্রভাব পড়ে আন্দোলনেও। ওইসব জেলা এখন কোন্দলে জর্জরিত। ফের একই আদলে তৃণমূলে কমিটি গঠনে কেন্দ্র থেকে ৯ আগস্ট চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটি করতে বলা হয়েছে। এদিকে সরকারবিরোধী দুই দফা আন্দোলনে ব্যর্থ ঢাকা মহানগর ও কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল তবিয়তে। এ নিয়ে আপাতত ভাবছে না হাইকমান্ড। অর্থাৎ কমিটি ভাঙা-গড়ার শাস্তির খড়গ ঘুরেফিরে সেই তৃণমূলেই। মহানগর এবং জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া চিঠিতে তৃণমূলের কমিটি করতে বলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নিজেদের পছন্দমতো ‘পকেট কমিটি’ করতে পারেন। মামলায় বিপর্যস্ত হয়ে আত্মগোপনে কিংবা কারাগারে থাকা নেতা-কর্মীরা কমিটিতে ঠাঁই পাবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এও বলছেন, কমিটি করতে গেলে সম্মেলন কিংবা সভা করার পরিবেশ এখনো হয়নি। সভা-সমাবেশ করতে গেলেই ফের গ্রেফতারের খড়গ নেমে আসতে পারে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনোভাবেই কমিটি করা সম্ভবও নয়। মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, কমিটি গঠনে চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করেই ৮৬ বছর বয়সী অসুস্থ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, কুষ্টিয়া বিএনপির সভাপতি মেহেদী আহমেদ রুমি, চাঁদপুর জেলা আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মানিক, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, বরিশালের সাবেক এমপি আবুল হোসেন, রাজশাহী মহানগর সেক্রেটারি শফিকুল হক মিলনসহ অনেককেই একই কারণে জেলে যেতে হয়েছে।    

মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আন্দোলনে অধিকাংশ জেলা ও মহানগরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছিলেন লাপাত্তা। মামলা নেই এমন নেতাও আছেন জেলা-মহানগর পর্যায়ের নেতৃত্বে। তার পরও তাদের নেতৃত্বেই কমিটি করতে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির হাইকমান্ড। ফলে কেন্দ্রের যেসব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা থাকবেন, তাদের যে কোনোভাবে ম্যানেজ করে ফেলার শঙ্কাও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরাসরি বিএনপির হাইকমান্ড থেকে গোপনে কমিটি গঠনের সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

সর্বশেষ খবর