শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সবুজ গ্রেফতার

কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। গতকাল ভোরে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট থেকে সবুজকে র‌্যাব সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সাজ্জাদ হোসেনের মা শাহিদা খাতুন ও স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া সংবাদ সম্মেলন করেন। সকালে সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদের বাবা শেখ তাইজাল হোসেন, ছেলে শেখ শাহেদ হোসেন ও মেয়ে সুমাইয়া শেখ উপস্থিত ছিলেন। ১৫ আগস্ট সকালে জাতীয় শোক দিবসের র‌্যালি শেষে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে সংঘর্ষে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন। ওই মামলায় সাজ্জাদ হোসেন সবুজ প্রধান আসামি। মৌখিক বক্তব্যে সবুজের মা শাহিদা খাতুন জানান, ভোর চারটার দিকে গাজীপুর জেলার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টের অপারেশন ম্যানেজার শিমুল আহমেদ মুঠোফোনে জানান র‌্যাব সদস্যরা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রিসোর্টে অভিযান চালায়। এ সময় গার্ডদের তারা আটক করে। পরে কয়েকজন গার্ডকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্ট মালিক মনির হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে রিসোর্টের একটি রুম থেকে সাজ্জাদ হোসেন সবুজ ও তার সঙ্গে একই রুমে থাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুকেও আটক করে। পরে রিসোর্ট মালিক মনির হোসেনসহ আটক দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তবে র‌্যাব বিষয়টি স্বীকার করছে না বলে জানিয়েছেন তারা। সবুজের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া জানান, তার স্বামী কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি। জিনিয়া স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, সবুজ যদি প্রকৃত দোষী হয় তবে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হোক। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আকুতি জানাচ্ছি। এদিকে বিকালে প্রেসক্লাবে আক্তারুজ্জামান লাবুর ভাই, স্ত্রী ও বোন আরেকটি সম্মেলন করেন। লাবুর স্ত্রী জেসমিন আরা বলেন, আমার স্বামী ছোট বেলা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। এক সময় ছাত্রলীগের নেতা ও পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আমার স্বামীকে র‌্যাব সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে বলে খবর পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো জিডি-মামলা নেই। তাকে যেন পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। লাবুর ভাই লাইজু বলেন, আমার ভাইয়ের কোনো অপরাধ নেই। কোনো খারাপ কাজের সঙ্গেও সে থাকে না। তাকে আমরা ফেরত চাই। গাজীপুরের একটি রিসোর্ট থেকে দুই নেতাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার মোসাদ্দেক ইবনে মুজিব বলেন, এ রকম কিছু জানা নেই। অনেকেই বিষয়টি জানার জন্য ফোন দিচ্ছে। জানতে পারলে আপনাদের জানাব।

সর্বশেষ খবর