বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

তবুও রাজনীতি পরাজিত নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

তবুও রাজনীতি পরাজিত নয়

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, লুটেরারা আজ ২৫টি গরু কোরবানি দেয়। লুটপাট করে ব্যাংক ডাকাতি করে ধনী হয়েছে। এই লুটপাট করে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে। তবে রাজনীতি পরাজিত নয়। এমনকি তাদের কারণে রাজনীতি দুর্বৃত্তায়নের হাতে চলে গেছেÑ সেটাও ঠিক নয়। যারা অর্থ সংগ্রহ করতে না পেরে রাজনীতি থেকে পিছিয়ে গেছে সেটা তাদের ব্যর্থতা। গত মঙ্গলবার এটিএন নিউজে টকশোতে অংশ নিয়ে বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এসব কথা বলেন। মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় টকশোতে আরও অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী।

টকশোতে বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদরা ধর্ম প্রচারক নন। রাষ্ট্র সেবা করতে হলে ক্ষমতায় থাকতে হবে। ক্ষমতা না থাকলে কোনো কিছুই করতে পারবেন না। প্রভাবশালী থাকলে নিজের এলাকায় রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ করার জায়গা থাকবে না। দল পরিবর্তন করে ক্ষমতায় থাকতে হবে। দল পরিবর্তন করার কারণে রাজনীতিবিদকে ‘সুবিধাবাদী’ বলে তারা এটা বোঝে না। যাদের কোনো সফলতা নেই তারা বড় বড় বুলি আওড়ান। টাকা উপার্জন করতে হলে শুধু লুট করতে হবে কিংবা ব্যাংক ডাকাতি করতে হবে এমনটি নয়। সৎ রাজনীতিবিদ সৎভাবে টাকাও কামাই করতে পারেন। তার কাছে বহু সুযোগ আছে।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, সব মানুষই কাজ চায়। সততা আছে কি নেই তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী-এমপিরা এলাকার জন্য কাজ করছে কি করছে না। তিনি যদি কাজ করতে পারেন জনগণ তাকেই গ্রহণ করবে। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। সময়ের চাহিদা যারা সমন্বয় করতে পারেন না, তারাই রাজনীতির পুরোপুরি দুর্বৃত্তায়নের কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের পকেটে’। এটা ঠিক বর্তমান রাজনীতির সঙ্গে মাননীয় রাষ্ট্রপতির সময়ের রাজনীতির বহু পার্থক্য। এই পরিবর্তন তার জীবনে ঘটে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে খুব কম অর্থ ব্যয় করে এমপি হয়েছেন তিনি। সারা জীবন সৎভাবে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু আমার আশঙ্কা আগামীতে তিনি কোনো লুটেরার কাছে পরাজিত হবেন।

তিনি বলেন, লুটেরারা কোনো নিয়মনীতি না মেনে টাকা কামাই করে। আমরা পিছিয়ে পড়ছি। সময়ের কাছে পিছিয়ে পড়ছি। এখন রাজনীতি করতে ব্যবসা করতে অনেক বেশি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু কেউ চাইলে নিয়মকানুন মেনে টাকা আয় করার সুযোগ আছে। এক সময় টেন্ডার দেখেনি এ দেশের মানুষ। বাংলাদেশ ৩ লাখ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে। তাই ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করে রাজনীতি করা সম্ভব। তাই বলে রাজনীতি দুর্বৃত্তায়নের কারণ ব্যবসায়ীরা, কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। এ দেশে সামরিক শাসকরা সৎ-অসৎ নির্ধারণ করে দেয়। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান দিয়েছে, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশেও সামরিক শাসকরা সৎ-অসৎ রাজনীতিবিদ চিহ্নিত করেছেন। সম্প্রতি ১/১১ শাসকরা সৎ-অসৎ নির্ধারণ করেছেন তাদের পছন্দমতো। এটা কখনো ভালো রাজনীতি নয়। রাজনীতি সময়ের কাছে ছেড়ে দিতে হবে। গণতন্ত্র চালু থাকলে ক্রমান্বয়ে সমাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর