শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শিয়া সমাবেশে গ্রেনেড হামলা নিহত ১, আহত শতাধিক

মাঝরাতে ঢাকা মেডিকেল ও মিটফোর্ডে আর্তনাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিয়া সমাবেশে গ্রেনেড হামলা নিহত ১, আহত শতাধিক

পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে হোসেনী দালান এলাকার ইমামবাড়ায় গত রাত ২টার দিকে শিয়া সমাবেশের প্রস্তুতিকালে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত একজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতের নাম সাজ্জাদ হোসেন সানজু (১৩)। আহতদের মধ্যে ৪৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ২৭ জনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই ব্যাপক সংখ্যক পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এলাকা ঘিরে ফেলে। আহতদের আর্তনাদ ও স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

নিহত সানজুর বাবা নাসির উদ্দিন জানান, তাদের বাসা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের উত্তর শুভাঢ্যা এলাকায়। সানজু কেরানীগঞ্জ চরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাজিয়া মিছিলের জন্য শিয়া মতাবলম্বীরা হোসেনী দালানে সমবেত হলে পরপর তিনটি হাতে তৈরি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও একটি গ্রেনেড অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, বিস্ফোরণে আহত অন্তত ৫০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন।

এছাড়া মাসুদ রানা নামে মিটফোর্ড হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক কর্মী জানান, ‘ওই বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ২৭ জন এসেছেন। রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছিল। আহতদের মধ্যে আরও অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে তিনি জানান।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের (রা.) শহীদ দিবস আরবি মহররম মাসের ১০ তারিখকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করেন শিয়া মতাবলম্বীরা। সপ্তম শতকে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন ইমাম হোসেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো শুক্রবার রাতে তাজিয়া মিছিলের জন্য হোসেনী দালানে সমবেত হয়েছিলেন শিয়া মতাবলম্বীরা। হোসেনী দালান ছাড়াও রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মগবাজার ও পল্টন থেকেও তাজিয়া মিছিল বের করেন শিয়া মতাবলম্বীরা।

 

সর্বশেষ খবর