ইতালীয় নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যা মামলার আসামি মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগিনা রাসেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান আসামি রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জেহাদ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। পরে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামিকে  কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তবে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কি আছে তা জানা যায়নি। এ ছাড়াও এই মামলার আরেক আসামি শুটার রুবেল এর আগে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের সড়কে ইতালীয় নাগরিক তাভেলা সিজারকে গুলিতে হত্যা করে পালিয়ে যায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্র“ফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন ইতালির এই নাগরিক। তবে পুলিশের দাবি, বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা, বিদেশে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা, বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করাসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

বিপ্লবকে আজ আদালতে হাজির করা হচ্ছে : জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতা রাশেদুন্নবী খান বিপ্লবকে আজ আবারও আদালতে হাজির করা হচ্ছে। ১৯ অক্টোবর বিপ্লবকে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শফিউল আলম জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। হাজিরার পরবর্তী দিন আজ (২ নভেম্বর) ধার্য করেন। ৩ অক্টোবর হোশি কোনিও নিহত হওয়ার পর রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য বিপ্লবকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। কোনিও হত্যা মামলায় তাকে আসামি দেখিয়ে ৫ অক্টোবর ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ৫ দিনের মাথায় ১০ অক্টোবর রিমান্ড বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। বিপ্লব ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবুন্ননী খান সোহেলের ছোটভাই। একই মামলার আরেক আসামি হুমায়ুন কবির হিরা তিন দফায় ২৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এখনো রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রাশেদুন্নবী বিপ্লবের আইনজীবী একরামুল হক জানিয়েছেন আজও তার জামিনের আবেদন করবেন।