বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

দোষারোপের রাজনীতি

ঘটনা ঘটলেই আওয়ামী লীগ দায়ী করে বিএনপিকে আর বিএনপি দায়ী করে আওয়ামী লীগকে। নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি কারও নেই। দুই দলের এই দোষারোপের রাজনীতির কারণে সঠিকভাবে তদন্ত অগ্রসর হয় না। ধরা পড়ে না খুনিরা। এ নিয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদ আজহারলাকমিনা জেসমিন সোমা

 

ঢাকঢোল না পিটিয়ে খুনিদের ধরতে হবে

হাসান আজিজুল হক

 

 

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক বলেন, ‘কোনো অপরাধ ঘটলেই দোষারোপের রাজনীতি না করে যার যার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আগে থেকেই বলে দেওয়া উচিত না- অমুক দায়ী বা তমুক দোষী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে দোষারোপ চলছে, তা উচিত নয়। এসব ঘটনায় মানুষ আর কোনো রাজনৈতিক বাদানুবাদ দেখতে চায় না। ঢাকঢোল না পিটিয়ে খুনিদের ধরতে হবে।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক। আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হককে নিয়ে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তার জবাব দেওয়ার রুচি আমার নেই। একজন রাজনীতিবিদ এভাবে কথা বলতে পারেন না। এটা নিহত ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবার প্রতি চরম নিষ্ঠুরতা। একজন রাজনীতিবিদের এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে জনগণ বিস্মিত।’

দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়েও রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে। বড় দলগুলো এ নিয়ে পারিবারিক ঝগড়ার মতো করছে। এটা কে করেছে, তার হদিস না করে পরস্পরকে দোষারোপ করা হচ্ছে। ব্লেম গেম করছে। এতে প্রকৃত অপরাধীরা আড়াল হয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। ঢাকঢোল পিটিয়ে এমন ঘোষণা না দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। আমাদের একটি সমাধানে পৌঁছতে হবে। পরস্পরকে দোষারোপ না করে প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, মুক্তচিন্তা-মুক্তবুদ্ধি বাংলাদেশে আজ সবচেয়ে বিপজ্জনক। এর মধ্যে রাজনৈতিক বাদানুবাদের কোনো সুযোগ নেই। কম্পিউটার, টেকনোলজি, টেলিফোন ইত্যাদির যুগে টানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যাওয়া একজনও কেন ধরা পড়ে না, তা কারও বোধগম্য নয়।’


 

মানুষ খুবই বিরক্ত হতাশ হচ্ছে

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

 

 

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যা-লয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে  করেন, রাজনৈতিক দলের পরস্পর অনুমাননির্ভর দোষাদোষীতে ক্রমাগত হতাশা বাড়ছে। তিনি বলেন, দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল মনে করে দোষারোপের সংস্কৃতি দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা যায়। কিন্তু তারা বোঝে না, এতে মানুষ আরও বিরক্ত হয়। হতাশ হয়। এটি কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো একটি নেতিবাচক ঘটনা ঘটলে সরকারি ও বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা যেভাবে কথাবার্তা শুরু করেন তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। শুরু থেকে সম্প্রতি ব্লগার ও প্রকাশক হত্যাসহ যত ধরনের নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছে সব সময় আমরা দেখেছি রাজনৈতিক দলগুলো কেবল পরস্পরকে দোষারোপ করছে। অথচ, প্রকৃত অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে কেউই জোরালো ভূমিকা পালন করছে না। ফলে পার পেয়ে যাচ্ছে মূল অপরাধীরা। অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম বলেন, যদি সত্যিই বিরোধী দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকে তবে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। তেমনি যদি সরকারেরও কোনো দোষ-ত্রুতি থাকে তা-ও যৌক্তিকভাবে সংসদে উপস্থাপন করা হোক। তা না করে যে-যার মতো মন্তব্য করছে। উদাহরণ দিয়ে বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, প্রকাশক দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ এমন এক মন্তব্য করে বসলেন যা চরম অসংবেদনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। কিছু একটা ঘটলে তা নিয়ে সবাইকে কেন কথা বলতে হবে- প্রশ্ন রাখেন সৈয়দ মনজুরুল। তিনি বলন, হত্যাকাণ্ড কিংবা আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কিছু ঘটলে তা নিয়ে কথা বলবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা তার মুখপাত্র। এমনকি তিনিও কথা বলবেন তথ্য-প্রমাণসহ কোনো একটা কিছু তদন্ত হওয়ার পর। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কারোরই আগে কোনো কথা বলা উচিত নয়। পৃথিবীর কোথাও এটি হয় না। অথচ কিছু ঘটলে আমাদের দেশে পাট, স্বাস্থ্য, মৎস্য- সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীই সে বিষয়ে এক একটা মন্তব্য করা শুরু করে দেন। তারা ভেবে দেখেন না কোনটা নিয়ে কথা বলা তার দায়িত্ব, আর কোনটা তার দায়িত্ব নয়। প্রকাশক দীপন হত্যার ঘটনায় তথ্যমন্ত্রীর ‘আমিও নিরাপদ নই’, এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বক্তব্যের সমালোচনা করে ইংরেজির এই অধ্যাপক বলেন, পরস্পরবিরোধী, সমন্বয়হীন এবং অসামঞ্জস্য এসব কথা বলার ফলে মূল ঘটনা হারিয়ে যায়। এ ছাড়া অনেক সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ এসব মন্ত্রীর কথার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অলিখিতভাবে একটি নির্দেশনা পেয়ে যায়। তারা তখন মন্ত্রীর কথা প্রতিষ্ঠা করতে সে অনুযায়ী কাজ করে।

এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে তিনটি পরামর্শ দেন তিনি। প্রথমত, দোষারোপের রাজনীতি থেকে বের হয়ে এসে সরকারকেই সর্বপ্রথম যে কোনো অপরাধ সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নির্মূল করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সব মন্ত্রীকে একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার মাধ্যমে অনুমাননির্ভর কথা বলা বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছাড়া যে যার মতো কথা বলা যাবে না। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কথা বলবেন কেবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্য কেউ না। তৃতীয়ত, বিরোধী দলকেও সরকারের যৌক্তিক সমালোচনার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করতে হবে। তা না হলে সামনে আরও ভয়ঙ্কর কিছু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।


 

নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি দায়ী

সৈয়দ আবুল মকসুদ

 

 

বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে বহু ব্যাপারে মতপার্থক্য থাকে। বিভিন্ন ইস্যুতে পরস্পরকে সমালোচনা করাও স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের বিভেদ ও বৈরিতামূলক রাজনীতি এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে, যে কোনো ব্যাপারে পরস্পরকে দোষারোপ করা ছাড়া যেন কোনো পক্ষের আর কোনো কাজ নেই। নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি এ জন্য দায়ী।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন প্রবীণ এই সাংবাদিক। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘কিছুকাল যাবৎ দেখা যাচ্ছে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও অপতৎপরতা কোথাও হলেই সরকার তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে। সরকারি দলের নেতাদের সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপান।’ তিনি বলেন, ‘এ প্রবণতা সরকারের জন্য আত্মঘাতী। এতে সরকার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। অন্যদিকে প্রকৃত অপরাধী থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর ফলে অপরাধ, সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে যদি বিরোধী দলের লোকেরাও ওইসব অপরাধ ঘটিয়ে থাকে, তাহলেও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা সরকারেরই কাজ। তদন্তের আগেই কাউকে দোষারোপ করা কিংবা অনুমানে কাউকে সন্দেহ করা গুরুতর অন্যায়। মৌখিক দোষারোপের পর যখন প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ে না, তখন প্রশাসন, আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার ওপর জনগণ আস্থা হারায়।’ সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘বিরোধী দল বিএনপি জনস্বার্থে কাজ না করে শুধু সবকিছুই সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে দায়মুক্ত থাকছে। জনগণ তাদের ওপরও আস্থা রাখতে পারে না। দীপন হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য ব্লগারের ওপর হামলার পর দুই পক্ষ থেকেই যে বিশ্রী বাক্যবিনিময় দেখা গেল, তা রাষ্ট্রের ব্যর্থতার এক বড় দৃষ্টান্ত। একটি বেদনাদায়ক ঘটনাকে নিয়ে যা হলো, তা নোংরামিই বলা চলে।’ তার মতে, ‘বাংলাদেশ ও বাইরের জগতের মানুষ দেখতে চায়, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের ধরে আইনে সোপর্দ করা। আগের একটি ঘটনারও সুরাহা হয়নি। সুতরাং এটিরও যে হবে, সে সম্ভাবনা কম। তার মধ্যে পারস্পরিক এ দোষারোপে মানুষ বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হচ্ছে। তা ছাড়া আজকাল পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারি দলের নেতাদের খুশি করতে দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তি করেন। তারা গণমাধ্যমকে যে তথ্য দেন, তার সঙ্গে দেখা গেছে বাস্তবতার কোনো মিল থাকছে না।’

তিনি বলেন, ‘একদিকে মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, অন্যদিকে অপরাধও বাড়ছে। তাতে রাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা নেই। সংসদে বিরোধী দল নেই। যারা আছেন তারাও বিতর্কে অংশ নেন না। আইনের শাসনের অভাব। সরকার ও রাষ্ট্রের ওপর জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না ঘটলে তার বিরূপ প্রভাব সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করবে।’


 

ব্লেম গেমে অপরাধীরা আড়ালে যাচ্ছে

ড. অনুপম সেন

 

 

বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, ‘সারা বিশ্বেই ব্লেম গেমের রাজনীতি চলছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়েও প্রভাবশালী দেশগুলো একে অন্যকে দোষারোপ করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়েও রিপাবলিকান পার্টি আর কনজারভেটিভ পার্টিতে ব্লেম গেম চলছে। বাংলাদেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল সব ইস্যুতেই পরস্পরকে দোষারোপ করে যাচ্ছে। এতে যারা প্রকৃত অপরাধী, তারা পার পেয়ে যাচ্ছে।’ দোষারোপের রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড, তাজিয়া মিছিলে হামলা, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের হত্যাকাণ্ড নিয়েও একে অন্যকে দোষারোপ করছে। দীপনকে নিয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা যে উক্তি করেছেন, তাতে এক হৃদয়হীনতা প্রকাশ পেয়েছে। আমার মনে হয়, এটা আওয়ামী লীগও মেনে নিতে পারেনি।’ ড. অনুপম সেন বলেন, ‘অবিলম্বে দোষারোপের রাজনীতি বন্ধ করে আসল অপরাধীদের খুঁজে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ধর্মান্ধরাই এসব অপকর্ম করছে। প্রধান দুই দল একে অন্যকে ব্লেম দিলে ওই ধর্মান্ধ অপরাধীরা আড়ালে চলে যাবে। এতে ক্ষতি হবে দেশ ও জনগণের।’ বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘যারা হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে, জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে, তাদের মানসিক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অল্পে সন্তুষ্ট। কিন্তু তারা নানাভাবে বঞ্চিতও হচ্ছে। এতে তাদের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে। এরই ফাঁকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ধর্মান্ধতা। শোষিত, বঞ্চিত হয়ে অনেক তরুণ ও মেধাবীও জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত হচ্ছে। আমাদের আদর্শিক যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে আদর্শিক শূন্যতা বিরাজ করছে। আগে রাজনীতিতে আদর্শ থাকলেও এখন তা দেখা যাচ্ছে না। এখনকার অধিকাংশ রাজনীতিবিদই ব্যবসায়ী। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থেই রাজনীতি করেন। বঞ্চিতদের পক্ষে তাদের কোনো অবস্থান নেই। তাই বঞ্চিতদের একটি অংশই বিপথগামী হচ্ছে।’ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপাচার্যের মতে, ‘শুধু ধরে শাস্তি দিয়েই এর সমাধান করা যাবে না। এ জন্য আমাদের মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে পারলে তাদের সুপথে আনাও সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর