শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তাভেলা হত্যায় বিএনপি নেতা কাইয়ুমের ভাই রিমান্ডে

নিজস্ব ও আদালত প্রতিবেদক

তাভেলা হত্যায় বিএনপি নেতা কাইয়ুমের ভাই রিমান্ডে

এম এ মতিনকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইটালির নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যার ঘটনায় আলোচিত বড় ভাই ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাড্ডার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আবদুল কাইয়ুমের ছোট ভাই এম এ মতিনকে গতকাল আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তাকে গোয়েন্দা দফতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ মামলায় রিমান্ডে থাকা আরেক  আসামি চাকতি রাসেল একই দিনে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে এ ঘটনায় আরও তিনজন আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। পুলিশ জানায়, বেনাপোলের একটি বাস কাউন্টার থেকে গত বুধবার রাতে মতিনকে গ্রেফতার করা হয়। মতিন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাভেলা হত্যাকাণ্ডে এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। এর আগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। তাদের দেওয়া জবানিতেই মতিনের নাম উঠে আসে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মতিনের পরিবারের অভিযোগ, দুই সপ্তাহ আগে ডিবি পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি মতিনকে বাড্ডার বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তবে পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয় বলে পুলিশের দাবি।

কাইয়ুমের ভাই রিমান্ডে, রাসেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি : তাবেলা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার এম এ কাইয়ুমের ছোট ভাই এম এ মতিনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জিহাদ হোসেন গতকাল মতিনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বিদেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই আসামির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছেন, তাদের ধরতে এই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

এ সময় আসামির আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী বা নেতা নয়। শুধু হয়রানি করার জন্য পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে এই মামলায় গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে শারীরিকভাবে তিনি খুবই অসুস্থ। শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আরেক আইনজীবী শওকত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ২০ অক্টোবর আবদুল মতিনকে তার বাসার সামনে থেকে অজ্ঞাতনামা লোক ধরে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় ২৭ অক্টোবর একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যাহার নম্বর-১৫৭৫।

এদিকে এ মামলার আরেক আসামি চাকতি রাসেল গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া এই মামলার আসামি শুটার রুবেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগিনা রাসেল, সাখাওয়াত হোসেন শরীফ এর আগে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় জগিং করে বাসায় ফেরার জন্য গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন ইটালির নাগরিক তাভেলা সিজার।

সর্বশেষ খবর