শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে : বি. চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ এবং গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেছেন, পরিস্থিতি এখনই মোকাবিলা করা না গেলে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত কাজী জাফর আহমদের  প্রতি ‘নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে বলে তিনি এ সময় অভিযোগ করেন। সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, সমাজবিজ্ঞানী ড. মীজানূর রহমান শেলী, বিএনপির সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সৈয়দ শফিউল্লাহ, আহসান হাবিব লিংকন, কাজী জাফরের মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ। এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সরকারের উদ্দেশে বলেন, মানুষের মাঝে, জনগণের মাঝে ফিরে আসুন। আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসুন। দেশ রক্ষায় কথা বলুন। জাতীয় সরকার গঠন করুন। মাটিতে আপনাদের নামতেই হবে। এখনই এ সমস্যার সমাধান না করা গেলে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। সেটা জাতির জন্যই অমঙ্গল হবে। সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, মানুষের জন্য রাজনীতি করার যে সংস্কৃতি, এখন তা নেই। সে সংস্কৃতির অধঃপতন ঘটেছে। এটা দেশ-জাতির জন্য শুভলক্ষণ নয়। রাজনীতি হতে হবে মানুষের জন্য। বি. চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, আজকে দেশে নির্বাচিত সরকার নেই। অথচ তারা বলেছিল নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের পর নতুন নির্বাচন দেবে। নিজেদের সে কথা তারা মানেনি। সে নির্বাচন শুদ্ধ করারও চেষ্টা করেনি। তাই এখন একের পর এক অন্যায় হচ্ছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। কাজী জাফর বেঁচে থাকলে এসবের বিরুদ্ধে লড়ে যেতেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সম্প্রতি সরকারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ডা. ইমরান এইচ সরকার। আমরা মনে করি বিএনপি তো নয়ই, জঙ্গিবাদের উত্থান হোক, তা কেউই চায় না। তাই সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গঠন করতে হবে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশের বন্দুকে গুলি ছিল না কেন জনগণের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জনগণের জীবন রক্ষা করতে নয়, শুধু বিএনপির মিছিলে গুলি করার জন্যই কি পুলিশের হাতে বন্দুক দিয়েছেন? কাজী জাফরের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, কাজী জাফর আহমদের মৃত্যুতে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মৃত্যুতে আমাদের আন্দোলন দুর্বল হয়েছে। তবে তার স্মৃতি আমাদের শক্তি জোগাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, আমাদের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় ঐক্য ও সংহতি দরকার।

সর্বশেষ খবর