শিরোনাম
সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সেই গাড়িতেই বাড়ি ফিরলেন এমপি লিটন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

সেই গাড়িতেই বাড়ি ফিরলেন এমপি লিটন

শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। গাইবান্ধা আমলি আদালতে (সুন্দরগঞ্জ) গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে জামিন শুনানি শেষে বিচারক অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল হাসান ইউছুফ তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন। জামিন পেয়ে নিজের সেই গাড়িতে করেই বাড়ি ফেরেন বিতর্কিত এই এমপি। যে গাড়িটি থেকেই শিশু সৌরভকে গুলি করা হয়েছিল। হত্যা চেষ্টা মামলায় ৫ নভেম্বর চতুর্থ দফায় আদালতে এমপি লিটনের জামিনের আবেদন জানানো হলে শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এর আগে ৪ নভেম্বর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা আরেকটি  মামলায় এমপি লিটনের জামিন মঞ্জুর করেন একই আদালত। এমপি লিটনের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন একজন সংসদ সদস্য। বর্তমানে জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলছে। তাই চলতি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য শিশু সৌরভকে হত্যা চেষ্টা মামলার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়। আদালত শুনানি শেষে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সময় পর্যন্ত  তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে বেলা সোয়া বারোটার দিকে গাইবান্ধা কারাগার থেকে এমপি লিটন জামিনে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গেটে অপেক্ষমাণ কর্মী সর্মথকরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় সাংবাদিকরা চেষ্টা করেও তার কাছে পৌঁছতে পারেননি। এমপি লিটনের ব্যক্তিগত গাড়ি দ্রুত তাকে তুলে নিয়ে কারাগার এলাকা ত্যাগ করে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এমপি লিটনের জামিনের সংবাদে সুন্দরগঞ্জে আন্দোলনকারীদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গুলিতে আহত শিশু সৌরভের মা সেলিনা বেগম মোবাইল ফোনে জানান, এমপি লিটনের জামিনের সংবাদে তারা ভীত নন। কারণ বাড়িতে চৌকিদার পাহারায় আছে, আর মামলাও যেহেতু চলমান- তাই সুবিচারের আশা করছেন তারা।

তবে সুন্দরগঞ্জ  পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এমপি লিটনের জামিন হবার আগে থেকেই তার লোকজন আমাকে হুমকি দিচ্ছে।’ জামিনের সংবাদের পর তিনি ব্যক্তিগতভাবে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান।

সর্বশেষ খবর