সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

উচ্চমূল্যে ওষুধ কিনতে হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চমূল্যে ওষুধ কিনতে হবে না

বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধশিল্পে মেধাস্বত্ব অব্যাহতি সুবিধা পাওয়ায় উচ্চমূল্যে ওষুধ কিনতে হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য মেধাস্বত্ব ছাড় (ট্রিপস) সুবিধা ছিল চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত ৬ নভেম্বর জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এই সুবিধা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আরও ১৭ বছর মেধাস্বত্ব ছাড়াই বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো ওষুধ তৈরি করতে পারবে। এ মেয়াদ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি পাবে না। পাশাপাশি রপ্তানি বাজার বাড়বে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে প্রায় ২৫০টি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি দেশের চাহিদার ৯৭ শতাংশ পূরণ করছে আর ৩০টির বেশি কোম্পানি ১০৭টি দেশে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ রপ্তানি করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি মানুষের জন্য ৯৭ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে বাংলাদেশ, এটা কম কথা নয়। বাংলাদেশের এমন উত্থানে অনেকের হিংসাক মনোভাব রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক অনেকে এটা চায় না। এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ ঘটলেও মেধাস্বত্ব সুবিধা পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে জিএসপি থেকে জিএসপি প্লাস স্কিমে ওই সুবিধা নেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, মেধাস্বত্ত ছাড় সুবিধা না হলে বর্তমানে বাজারে যে ওষুধ চার থেকে পাঁচ টাকায় কিনতে হয় তা ১১০ থেকে ১২০ টাকায় কিনতে হতো। আমাদের দেশের গরিব লোকজনের পক্ষে এটা অসম্ভব হতো। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব আবদুল মুক্তাদির প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর