মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আইসিসি চেয়ারম্যান মনোহর

ক্রীড়া ডেস্ক

আইসিসি চেয়ারম্যান মনোহর

শেষ পর্যন্ত বিদায় ঘণ্টা বেজেই গেল শ্রীনিবাসনের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ৮৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে শ্রীনির ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে গতবছর জুন মাসে দায়িত্ব পাওয়া শ্রীনিকে সরে যেতে হবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার চেয়ারম্যানের পদ থেকে। এখন নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বিসিসিআইয়ের  বর্তমান সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত আইসিসির চেয়ারম্যান পদে থাকার কথা ছিল শ্রীনিবাসনের। তার মেয়াদের বাকি সময়টা দায়িত্ব পালন করবেন মনোহর। তবে শশাঙ্ক মনোহর নতুন চেয়ারম্যান হলেও ব্যস্ততার কারণে তার প্রতিনিধি হিসেবে আইসিসির সভায় যোগ দেবেন শারদ পাওয়ার। শারদ এর আগে ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আইসিসির সভাপতি ছিলেন। ভারত ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নানা কারণে বিতর্কিত হয়ে উঠেছিলেন শ্রীনিবাসন। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিই ভারতীয় ক্রিকেটে শ্রীনির অবস্থান দুর্বল করে দেয়। এই কেলেঙ্কারিতে তার জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্লন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শ্রীনিকে বিসিসিআইয়ের সভাপতির পদ ছাড়তে হয়। গত বিশ্বকাপে তার ইন্ধনে কোয়ার্টার ফাইনালে দুই অ্যাম্পায়ারের বেশকিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতকে জিততে সহায়তা করে। এমনকি আইসিসি সভাপতি দায়িত্বে থাকার পরও বাংলাদেশের আহম মুস্তফা কামালকে ফাইনাল ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ করতে দেননি শ্রীনিবাসন। শ্রীনির নোংরামির প্রতিবাদ জানিয়ে দেশে ফিরে আইসিসির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন আহম মুস্তফা কামাল। শুধু তাই নয়, আইপিএলে জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে বলে বিসিবি সভাপতি থাকা অবস্থায় মুস্তফা কামালকে বিপিএল বন্ধ করতে বলেছিলেন। তার অপকর্মে ভারতীয় ক্রিকেটের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছিল। শ্রীনিবাসনের অপসারণে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন আইসিসি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘আইসিসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে শ্রীনির পতন মানে ক্রিকেট অভিশাপমুক্ত হবে। এ রকম একটা সিদ্ধান্তের জন্য আমি অপেক্ষায় ছিলাম। ক্রিকেট থেকে এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।’ মুস্তফা কামাল আশা প্রকাশ করেন নতুন চেয়ারম্যান বিশ্ব ক্রিকেট উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর