শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
জাপানি নাগরিক হত্যা

যুবলীগ ও যুবদলের তিন নেতা অস্ত্রসহ আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে যুবলীগ ও যুবদলের তিন নেতাকে অস্ত্র ও গুলিসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আটক করেছে র‌্যাব। এক মাসের বেশি সময় আগে থেকে এই তিন নেতাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে তাদের পরিবার অভিযোগ করে আসছিল। র‌্যাব-৫ রাজশাহীর অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ার্ডন লিডার মোবাশ্বের রহিম জানান, কোনিও হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিদিরপুর সাতনইল এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় সাতনইল থেকে রংপুর মহানগর যুবদল সদস্য রাজীব হাসান সুমন ওরফে মেরিল সুমনকে (২৬) আটক করে। তার কাছ থেকে একটি রিভলবার ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিরে বিদিরপুর থেকে মহানগর যুবদলের সদস্য নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে ব্ল্যাক রুবেল (২৭) ও রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সদস্য কাজল চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভরসা কাজলকে (২৫) আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোনিও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করে স্কোয়ার্ডন লিডার মোবাশ্বের বলেন, গতকাল অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি এ বি এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনজনকে আটকের খবর শুনেছি। তাদের রংপুরে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে র‌্যাব ওই তিনজনকে আটকের কথা বললেও ৫ ও ১০ অক্টোবরের মধ্যে ‘সাদা পোশাকধারী’ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ব্ল্যাক রুবেল, মেরিল সুমন ও ভরসা কাজলকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে পরিবার দাবি করে আসছিল। ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘রংপুরে যুবলীগ-যুবদলের তিন নেতা নিখোঁজ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তবে পুলিশ ও র‌্যাব অভিযোগ অস্বীকার করলেও রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, মেরিল সুমন, ব্র্যাক রুবেল ও ভরসা কাজল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সকালে নগরীর মুন্সিপাড়ার বাড়ি থেকে রিকশায় করে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে নিজের ঘাসের খামারে যাওয়ার সময় কোনিওকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানার ওসি বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে কোনিওর ব্যবসায়ী সহযোগী হুমায়ুন কবীর হীরা ও মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ উন-নবী খান বিপ্লবকে আটকের পর এই মামলায় আসামি দেখানো হয়।

সর্বশেষ খবর