রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফরিদপুরে ডাকাত সন্দেহে চারজনকে পিটিয়ে হত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার এলাকায় ডাকাতির ঘটনার পর গতকাল ভোররাতে সন্দেহভাজন চার ডাকাত গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। এর আগে ডাকাতদের হামলায় ৫ বাসিন্দা আহত হন। সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতদের নাম-ঠিকানা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভোর চারটার দিকে ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল চৌধুরী বাজার সংলগ্ন মতিন শেখ, মমিন শেখ ও রশিদ শেখের বাড়িতে ডাকাতি শুরু করে। তারা বাড়ির লোকজনকে মারপিট করতে থাকে। মারপিটে মতিন শেখ, তার স্ত্রী দুলি বেগম, রশিদ শেখ ও তার স্ত্রী ফিরোজ বেগমসহ ৫জন গুরুতর আহত হন। এসময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাত দল পালাতে থাকে। স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ডাকাতির ঘটনা প্রচার করলে শত শত মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এসময় চৌধুরী ডাংগী এলাকার ধান ক্ষেতে লুকিয়ে পড়া সন্দেহজনক দুই ডাকাত ধরা পড়লে জনতা তাদের গণপিটিুনি দেন। ফলে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। পার্শ্ববর্তী ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চর দুর্গাপুর গ্রাম থেকে আরও দুজন ধরা পড়লে তাদেরও গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যায়। পরে পুলিশ এসে ডাকাতির স্থান থেকে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া ১টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে। ডাকাতির শিকার বাড়ির মালিক মতিন শেখ জানান, ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তুহিনুর রহমান মণ্ডল বলেন, কয়েকদিন ধরেই এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছিল। ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পংকজ বলেন, ডাকাতরা চরমাধবদিয়ার কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতির পর পিটুনির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ৭টার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ চারটি উদ্ধার করে। বর্তমানে লাশগুলো মর্গে রয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিমউদ্দিন জানান, লাশগুলোর পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর