সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নিউইয়র্কে বিব্রত ফখরুদ্দীনের দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

নিউইয়র্কে বিব্রত ফখরুদ্দীনের দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ

দীর্ঘদিন পর জনসমক্ষে এসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেন বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। নিউইয়র্কে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবদুল মুনিম চৌধুরীর জানাজায় অংশ নিতে এসে তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাটি ঘটে  বাঙালি অধ্যুষিত জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার মসজিদে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার মসজিদের প্রথম দফা জুমার জামাতে অংশ নেন ফখরুদ্দীন। যদিও  প্রথমে অনেকেই লক্ষ্য করেননি তার উপস্থিতি। জুমা শেষে জানাজার নামাজের আগে মসজিদ কমিটির সম্পাদক আক্তার হোসেন মাইকে ঘোষণা করেন মরহুম আবদুল মুনিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ তার প্রয়াত বন্ধুর বিষয়ে কিছু বলবেন। তখনই মুসল্লিরা বুঝতে পারেন যে, ড. ফখরুদ্দীন সেখানে উপস্থিত আছেন এবং ওই মসজিদে নামাজ পড়েছেন। এরপর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ যখন বক্তৃতা শুরু করেন, তখনই একদল উত্তেজিত মুসল্লি নানারকম কটূক্তি করতে করতে তার দিকে তেড়ে যান। তাদের কেউ কেউ উচ্চৈঃস্বরে বলতে থাকেন, এই লোক বাংলাদেশকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। কেউ কেউ বলেন, ‘আপনি দেশটাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। আপনি গণতন্ত্র হত্যাকারী’। তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ড. ফখরুদ্দীন দ্রুত তার বক্তব্য শেষ করে মসজিদ থেকে বের হয়ে যান এবং মসজিদ কমিটির নেতারা তাকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দেন। গাড়িতে ওঠার সময় তাকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন  করেন, ‘স্যার দেশ কেমন আছে?’ এ প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়েই তিনি স্থান ত্যাগ করেন। জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে অনেকটা নিভৃতে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছেন ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। বাংলাদেশিদের কোনো আয়োজনে তাকে এর আগে দেখা যায়নি। গণমাধ্যমেও তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। ওই দিনই প্রথম প্রকাশ্যে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় তাকে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর